বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন

অগ্রণী ব্যাংকের এমডিসহ ৫ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: হাইকোর্টের আদেশ বার বার অমান্য করায় অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল কবিরসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে তিন মাস করে দেওয়ানি বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ দণ্ড দেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. নুরুল আমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি চার জন হলেন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক-১ ওয়াহিদা বেগম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক-২ শ্যামল কৃষ্ণ সাহা এবং জেনারেল ম্যানেজার ফজলুল করিম ও ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল শাখার বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার একেএম ফজলুল হক।

আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. নুরুল আমীন বলেন, রায় হাতে পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তাদের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

জানা গেছে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মুন গ্রুপের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের ডিগ্রি মূল্যে পাওনা হয় ৫৩৯ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে পাওনার ২৫ শতাংশ কিস্তিতে পরিশোধের জন্য মুন গ্রুপের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণের ২৫ শতাংশ পরিশোধ না করলে মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠানো হবে।

ব্যাংকের এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিম্ন আদালতে ঘোষণামূলে ডিগ্রি প্রার্থনা করা হয়। একইসঙ্গে ব্যাংকের চিঠির বিরুদ্ধে আদেশ প্রার্থনা করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। নিম্ন আদালত এই আদেশ নামঞ্জুর করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে মুন গ্রুপ হাইকোর্টে বিবিধ আপিল দায়ের করেন। হাইকোর্ট ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ব্যাংকের চিঠির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। পাশাপাশি রুল দেন।

এদিকে, নির্ধারিত সময়ে ঋণের ২৫ শতাংশ কিস্তি পরিশোধ না করায় মুন গ্রুপকে খেলাপি তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকে সিআইবি পাঠায় অগ্রণী ব্যাংক। পরে মুন গ্রুপ ভায়োলেশন মোকাদ্দমা দায়ের করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com