সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
তুহিন আহামেদ, সাভার প্রতিনিধিঃঃ প্রতিবেশী এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে রিক্তার। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বুধাবর রাতে কাউকে কিছু না বলে প্রেমিকের সাথে ঘর থেকে বের হয়ে যায় সে। কিন্তু সকালে আবার বাড়িতে ফিরেও আসে রিক্তা। রাতে সে কোথায় ছিল-কার সাথে ছিল জানতে চান বাবা। পরে বাবার সাথে অভিমান করে অভিমান করে রিক্তা গলায় উড়না পেঁচিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
১ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের নামা গেন্ডা এলাকায় আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিক্তা আক্তার (১৫) সাভারের নামা গেন্ডা এলাকার বাপ্পি বিশ্বাসের মেয়ে এবং তাদের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা এলাকায়। বাবা-মায়ের সাথে সাভারের নামা গেন্ডা এলাকায় থাকতো সে।
প্রতিবেশীরা জানায়, সাভার উপজেলার নামা গেন্ডা এলাকার সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রিক্তার। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বুধবার রাতে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় রিক্তা। রাতে ফিরে না আসলেও অজ্ঞাত কারণে আবার বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে ফিরে আসে। রাতে কোথায় ছিল বাবা ও পরিবারের লোকজন জানতে চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুপুরের দিকে রিক্তা তার কক্ষে একাই ছিল।
দুপুরের দিকে তাকে ডাকা ডাকি করলে ভেতর থেকে কোন সারা শব্দ না পেলে সন্দেহ হয় এবং দেখতে পায় সে গলায় উড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই ইদ্রিস আলী পলাতক রয়েছেন।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজায়েত হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।