মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
গোলাপ খন্দকার, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃঃ
নওগাঁর সাপাহারে প্রকৃতির কাছে উপজেলায় প্রায় ৫শতাধীক পান চাষীর ১৮হেক্টর জমিতে লাগানো পান বোরজের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। সরেজমিনে ওই এলাকার পান বোরজে গিয়ে দেখে যায় পানে পাতা ঝরে পড়া,লতা ও পাতা পচা রোগে আক্রান্তের লক্ষন দেখা গেছে। অধিকাংশ বোরজে পচন ও চিটা রোগে সম্পূর্ন পান হলুদ বর্ণ ধারন করে পান পাতাগুলি পচে গাছ হতে ঝরে পড়ছে ।এবছর প্রচন্ড শীত ও ঘন গাড় কুয়াশায় প্রয়োজনীয় রোদ না পেয়ে পান চাষীদের বোরজের পানে পচন ধরলে কোন মতেই তা রোধ করতে না পেরে প্রতিটি বোরজ এখন পান শুন্য হয়ে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। যে বোরজ মালিক সপ্তাহে কয়েক হাজার টাকার পান বিক্রি করত সে বোরজ মালিক এখন পান বিক্রি করা তো দুরের কথা পান বোরজ বাঁচানোর জন্য মহাজনী ঋন নিয়ে পান বাঁচানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ওই এলাকার অধিকাংশ পান চাষীর আবাদি কোন জমি নেই পান চাষের উপর নির্ভর করে সারা বছরের সংসার খরচ চলে। বর্তমানে পান চাষীরা পান বোরজের অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে পড়েছেন। পান চাষীদের মতে আরো এক সপ্তাহ আবহাওয়ার কোন পরিবর্তন না ঘটলে এবছর পান চাষের আশা ছেড়ে দিতে হবে এবং বোরজের সম্পূর্ন পান নষ্ট হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের আশড়ন্দ গ্রামের ষাটোর্ধ আছির উদ্দীন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ধান চাষের কোন জমি জমা নেই শুধু এক খন্ড পান বোরজ রয়েছে এই দিয়েই সারা বছর আমার সংসার চলে। প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরজের সব পান নষ্ট হয়ে গেছে এ বছর কি দিয়ে সংসার খরচ চালাব সে চিন্তায় এখন সব সময় মাথা ঘুরছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম গোলাম ফারুক হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, কৃষকের পানের অবস্থা জানতে পেরে তিনি ওই এলাকায় কৃষককে সচেতন করার জন্য তার কর্মী বাহিনীদের পাঠিয়েছেন তারা এখন প্রতিটি বোরজ মালিকদের এ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় কীটনাশক স্প্রে, পলিথিন দিয়ে বোরজ ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়ে চলেছেন।
কৃষি কর্মকর্তা, পানচাষী সহ এলাকার অভিজ্ঞ মহল এ বারের বৈরী আবহাওয়াকেই এর জন্য দায়ী করেছেন তবে দু’এক দিনের মধ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে রোদের তাপ ছড়ালে অতি দ্রুত পান চাষেও পরিবর্তন ঘটবে বলে কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। হঠাৎ করে এবছর বোরজে পান পচন রোগ ধরায় পানচাষীরা এখন দারুন হতাশায় ভুগছে।