শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট::
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার শতভাবে চেষ্টা করছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন না হয়। তারা জানে সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এই সরকার কখনই আর নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবে না। সে জন্য, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান ছিল, আওয়ামী লীগের দাবিতে সে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে এসেছিলাম, তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আজকে তারা দলীয় সরকারের অধীনে জোর দিয়ে নির্বাচন করছে। জোর করেই করছে। এবং বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি করছে।
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ২৪ জানুয়ারী বুধবার মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তনি দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরন করেন। এর আয়োজন করে ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকবৃন্দ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সুস্পষ্ট করে বলেছি, নির্বাচনকালে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। যা ছিল, এ দেশের মানুষ তা গ্রহণ করেছিল। তিনটি নির্বাচন এখানে হয়েছে। আজকে কি কারণে সেই বিধান সংবিধান থেকে সরকার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে না দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবেন? ইতিমধ্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে এই সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট করেই বলেছি, আমরা নির্বাচনকালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। সমান সুযোগ চাই। তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এ দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না। সরকার যতই নির্যাতন করুক, গ্রেফতার করুক, হত্যা -গুম করুক, এ দেশের মানুষকে তাদের যে চাওয়া নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তা থেকে সরাতে পারবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের ভোট দেওয়ার যে নূন্যতম অধিকার, তাও কেড়ে নিয়েছে। আজকে কথা বলা, লেখার ও সংগঠন করার সুযোগ নাই। রাস্তায় বের হওয়ার সুযোগ নাই। এমনকি খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আমাদের দলের তরুণরা যখন তাকে আদালতে নিয়ে যায়, নিয়ে আসে, তখন ৫০-৬০/১০০ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়। তাই আমাদের এই কথা মনে রাখতে হবে যে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। খালেদা জিয়া আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারেক রহমান সুদূরে নির্বাসিত থেকে নেতৃত্বে আছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ওপর হামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাবিতে যা ঘটেছে তা আওয়ামী লীগের চরিত্র। এটা ছাত্রলীগের নতুন কিছু ব্যাপার নয়। তারা বহুবার শিক্ষকদের মেরেছে, ছাত্রদের মেরেছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিক্টেটেরিয়াল যে অথরিটি আছে তারা যখন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তখনেই তারা হাতিয়ার নিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষের উপর আক্রমণ করেছে। আজকে দেশে সমাজে রাষ্ট্রে তারা জোর করে ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। কিন্তু তারা তা পারবে না। এর অবসান হবেই। এ দেশের মানুষ নি:সন্দেহে তাদের পরাজিত করবে।
এসময় বিএনপির বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের আব্দুস সালাম, উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু,সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।