শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
এম.আর রয়েল শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ শ্রীনগরে স্কুল পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় এক অভিবাবক সদস্যকে মারধর ও এক শিক্ষক প্রতিনিধিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারী বুধবার উপজেলার বেলতলী জি, জে উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী সিংপাড়া বাজারে হামলাকারীরা মহড়া দিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, বেলতলী জি, জে উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৮ জানুয়ারী অভিবাবক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪ জন সদস্য জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে সভাপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দেয়। গত ৩০ জানুয়ারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে সভাপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিবাবক, দাতা ও শিক্ষক প্রতিনিধি সহ ভোটের ক্ষমতা প্রাশপ্ত ৯ জন গোপন ব্যলটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতাকারী বিদ্যালয়ের গত কমিটির সভাপতি ফজলুল হক জুয়েল ৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। অপর প্রার্থী মোজাম্মেল হক জিল্লু পান ৩ ভোট। কিন্তু তার সমর্থকরা এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারের কার্যালয়ে মারমুখী আচরণ করে। একপর্যায়ে তারা শিক্ষা অফিসারের উপর চড়াও হলে পুলিশ উত্তেজনাকারীদেরকে শিক্ষা অফিসারের কক্ষ থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে তারা এলাকায় ফিরে আসে এবং পরাজিত প্রার্থী জিল্লুকে ভোট না দেওয়ার কারনে অভিবাবক প্রতিনিধি আওলাদ হোসেন মিন্টুকে মারধর করে উল্টো পায়ে ধরানোর ছবি তুলে রাখে। পরদিন শিক্ষক প্রতিনিধি জিয়াসমিন আক্তারের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে জিল্লুর লোকজন তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েও অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধির কেউ থানায় অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছেনা। এব্যাপারে পরাজিত প্রার্থী জিল্লুর সমর্থক সিংপাড়া গ্রামের জুলহাস হোসেন পাপ্পু শিক্ষক প্রতিনিধিকে বকাঝকর বিষয়টি স্বীকার করলেও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিরাজুল ইসলাম জানান, আমার অফিসে পরাজিত প্রার্থীদের আচরণ মারমুখি ছিল। তবে অফিসের বাহিরে কিছু হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।