সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৫ অপরাহ্ন

শ্রেণীকক্ষ সংকট খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

নিজস্ব প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জঃ কনকনে শীত। বইছে হালকা বাতাস। এ পরিবেশেই খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে। ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের খানেপুর ইসলামী ইবতেদায়ী মাদরাসায় বৃহষ্পতিবার গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারণে এভাবেই তাঁদের পাঠদান করছে বলে দাবি করেন শিক্ষকরা। এতে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকাবাসীর উদ্যোগে ২০১৫ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালে মাদরাসা প্রাঙ্গণে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। শীতের সঙ্গে তীব্র বাতাসে কষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ওই মাদরাসায় শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ৭টি শাখায় বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। একই সঙ্গে পাঠদানের জন্য মাদরাসায় সাতটি কক্ষ দরকার হলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র পাঁচটি। এছাড়া নতুন বছরে কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। ফলে সব শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে বসিয়ে একই সাথে পাঠদান করাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মো. রাশিম মোল্লা বলেন, শ্রেণীকক্ষের সংকট নিরসনে ভবনের দ্বিতীয়তলার পিলার নির্মাণের কার্যক্রম শেষ। তবে অর্থ সংকটের কারণে কক্ষ নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, এ বছর ছাত্র সংখ্যা বাড়াতে কক্ষ সংকট আরো বাড়ছে। মাদরাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক মুফতি কবির আহমেদ বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষ দরকার ৭টি আছে পাঁচটি। ফলে দুটি শাখাকে উঠানে পাঠদান করাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবক আখি বেগম বলেন, এভাবে বাচ্চারা ক্লাস করলে সমস্যা হবে। শীতে ঠান্ডা লাগতে পারে। কয়দিন এভাবে চলবে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।

অহিদুল ইসলাম বলেন, আরবির পাশাপাশি বাংলা ইংরেজী বিষয়েও বেশ নজর দেয়া হয় বলে বাচ্চাদের এখানে ভর্তি করেছি। তবে দ্রুতই আমরা এর পরিত্রাণ চাই। চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলে, শীতে খোলা জাগায় ক্লাস করা খুবই কষ্ট। আমাদের জন্য রুম চাই।শিক্ষার্থী আল মাসুদ জানায়, শুধু শীতে না গরমের দিনেও আমাগো কষ্ট অয়। স্যারে গো তো কইছি। মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি মো. আফসার উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যতসামান্য বেতন নেয়া হয়। তা দিয়ে শিক্ষকদের বেতনও হয় না। এমতাবস্থায় শ্রেণীকক্ষ বাড়ানোর জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তা নেই। তবে প্রবাসী ও এলাকার ভাইদের সহযোগিতায় দ্রুতই এ সমাধানের চেষ্টা চলছে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমাকে মাত্রই অবগত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষে সাথে কথা বলে শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com