বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন

শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাব: এমপি মোতাহার

হাতীবান্ধা(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি॥ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি বলেছেন, আমার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাব। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আরও বলেন, আপনাদের পাশে আমি আছি থাকবো। আমার বিরুদ্ধে যতই মিথ্যা বনোয়াট সংবাদ প্রকাশিত হোক, আপনারা হতাশ হবেন না। আমাকে নিয়ে একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যাচার করছেন। আমরা তা প্রতিহত করবো। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

সোমবার বিকালে বিক্ষোপ মিছিল শেষে হাতীবান্ধা ডাক বাংলো মাঠে আয়োজিত উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান ভেলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান, হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, পাটগ্রাম উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান সফিক কামাল টারজন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু, নুরল আমিন, প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান জুয়েল, এ্যাড. মশিউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক দিলিপ কুমার সিংহ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও কৃষকলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২১ জানুয়ারীসহ কয়েক দিন বাংলাদেশ প্রতিদিন নামক একটি পত্রিকা স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, তার পরিবার ও তার সহকর্মীদের নিয়ে কাল্পনিক কিছু কাহিনী প্রকাশ করেছেন যা সর্ম্পণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ১৯৬১ সালে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় মোতাহার হোসেন ছাত্র সংসদের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফার আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে আন্দোলন করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। পরে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে দ্বিতীয় শর্ট কমিশনে যোগদান করেন। ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে দু বার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ থেকে সংসদ সদস নিবার্চিত হয়ে বিরোধী দলীয় হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এম পি হিসাবে নির্বাচিত হয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নিবার্চিত হয়ে ওই মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বের পাশাপাশি বানিজ্য মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সদস্য, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই মানুষটিকে নিয়ে একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যাচার করছেন।

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, মোতাহার হোসেনের নেতৃত্বে লালমনিরহাটে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু, ধরলা সেতু, পিটিআই ট্রেনিং সেন্টার, বুড়িমারী-লালমনিরহাট রেলপথ, নার্স কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ উন্নয়নমুখী এই মানুষটিকে বিভিন্ন ভাবে হেয় করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com