শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক:: ঢাকার একটা অভিজাত হোটেলে আজ শনিবার হয়ে গেলো ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের দল নির্বাচন ‘প্লেয়ার্স ড্রাফট’। আর ড্রাফটে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে প্রথম বিভাগ থেকে এবারই প্রিমিয়ারে উঠে আসা শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু আসলেই কি শাইনপুকুরে খেলবেন মাশরাফি? ঢাকা লিগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, শাইনপুকুর নয় আবাহনীতেই খেলবেন মাশরাফি। কারণ ড্রাফটে পাওয়া খেলোয়াড়দের অদল বদল করার সুযোগ রয়েছে ক্লাবগুলোর।
সুত্রটি জানায়, ‘মাশরাফি এবার আবাহনীর হয়েই খেলবে। আমরা শাইনপুকুরের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে তারা জানিয়েছে মাশরাফিকে ছেড়ে দিতে রাজি আছে।’ তবে মাশরাফির পরিবর্তে আবাহনী থেকে কাকে দেওয়া হবে তা নিশ্চিত করে বলেনি সে সূত্র, ‘আমরা এ নিয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিব।’
তবে শুধু যে মাশরাফির দলবদলের একমাত্র পরিবর্তন হতে যাচ্ছেন তাও কিন্তু নয়! জানা গেছে, তামিম ইকবালকেও ধরে রাখবে না কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ তাকে নিয়ে নিতে পারে। গুঞ্জন এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও। খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে আবাহনী লিমিটেড। এছাড়াও আরও অনেক খেলোয়াড়েরই এই প্রক্রিয়ায় দল বদলে যেতে পারে।
এদিন প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ বা সিসিডিমের নতুন চেয়ারম্যান কাজী এনাম আহমেদ জানান, ‘আমরা এবার একটি ক্লজ রেখেছি যেটাতে দুটি ক্লাব ইচ্ছে করলে আলোচনার ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের বদল করতে পারবে।’ মূলত তার এ ঘোষণার পরই জানা যায় প্লেয়ার্স ড্রাফটের এবার নতুন নিয়ম যুক্ত হয়েছে। আর তখন আলোচনায় আসে তাহলে কেন প্লেয়ার্স ড্রাফট?
সরাসরি তার কাছ থেকে এই প্রশ্নের জবাব না মিললেও এটা পরিষ্কার যে ক্রিকেটারদের মূল্য ক্লাব কর্তৃপক্ষের ইচ্ছের মধ্যে রাখতেই এ নিয়ম। কারণ নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরই এনাম জানিয়েছিলেন, ‘অনেকগুলো ক্লাব আমাদের কাছে অনুরোধ করেছে। তাই এবার আমরা “প্লেয়ার্স বাই চয়েজ” পদ্ধতিতে দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। ঢাকা লিগ নামে ঐতিহ্য যার। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্রিকেটারের রুটিরুজির অন্যতম প্রধান মাধ্যম। অনেক ক্রিকেটারই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন এই আসরের জন্য। তবে ক্রিকেটারদের এবার দেওয়া হচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে কম পারিশ্রমিক। টেস্ট খেলা খেলোয়াড়ও আছেন যাদের মাত্র সাড়ে তিন লাখ টাকায় খেলতে হবে এ লিগ।