সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২৫ অপরাহ্ন
মো: নাসির খান, শরীয়তপুর থেকে:: শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ৭ জন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০টি প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা পরিষদের কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০টি প্রকল্পের তদন্ত শুরু করেছে। ২০২২-২০২৩ এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোতে অসঙ্গতি পাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
দুদক কর্মকর্তা জানান, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ৭ জন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০টি প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায় দুদক। পরে রোববার সকালে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে প্রাথমিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পায় দুদক। এরমধ্যে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সখিপুরের ডাক বাংলো নির্মাণ না করেই ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পুনরায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় জেলা পরিষদ।
এছাড়াও নামে মাত্র গাছ লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় জেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন (বর্তমানে নাটোরে কর্মরত স্থানীয় সরকার উপপরিচালক), সদস্য কামরুজ্জামান উজ্জল, আসমা আক্তার, সাখাওয়াত হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুর হোসেনও রয়েছেন।
এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ৭ জন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে আমরা বেশ কিছু অসংগতি পেয়েছি। ভেদরগঞ্জ উপজেলা সখিপুর ডাক বাংলোর নামে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। তবে সেখানে কোনো কাজ হয়নি, পুনরায় আবার সেখানে এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা সকল অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।