সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছে সাংবাদিক, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক। আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সুমন আহমেদ (৩০) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১নং ওয়ার্ড নেতা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। আগে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিনিত হয় ঘটনাস্থলের চারপাশ।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোডে উপজেলার হাবিবনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ৫ শতাধিক রাউন্ড টিয়ারসেল ও গুলিবর্ষণ করে। এসময় পুরো এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলের চারপাশে। এসময় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে উপজেলার হাবিবনগর এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে কাঞ্চন পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি রফিক ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুলের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। ৫০ গজ দুরুত্বে একই এলাকায় রাস্তার আরেক পাশে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়া এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল বাশার টুকুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। এসময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে পুলিশ রাস্তার মাঝে অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষকে সরে যেতে নির্দেশ দেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে পুলিশ দুই পক্ষকে ধাওয়া করে লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে পুলিশের সঙ্গে উভয়পক্ষ কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ প্রায় ৫ শতাধীক টিয়ারসেল ও শটগানের গুলিবর্ষণ করে। এতে সাংবাদিক পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক আহাম্মেদ জানান, এখানে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ফের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।