মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ‘জিয়া অরফানেজ দুর্নীতির মামলার’ রায়ের দিন ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ নিয়ে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিনকে ঘিরে নির্বাচনি আমেজ থেকে সরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। দুই দলের এই হুমকি-ধমকিতে শঙ্কিত দেশবাসী। সবার মুখেই প্রশ্ন রায়ে খালেদার সাজা হলে বিএনপি কী করবে এবং আওয়ামী লীগ কীভাবে তা প্রতিহত করবে? একইভাবে আলোচনা হচ্ছে সাজা না হলে দুই দলের ভূমিকা কী হবে?
কয়েকজন আইনজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, আদালতের বিষয় নিয়ে বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কারোরই মন্তব্য করা ঠিক নয়। দলগুলো পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারে বা কৌশল নির্ধারণ করতে পারে, তবে প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি দিয়ে দেশবাসীকে অস্থিরতার মধ্যে রাখা ঠিক হচ্ছে না।
আওয়ামী লীগ দলীয় একজন সিনিয়র আইনজীবী বলেছেন, রায়ের পরবর্তীতে কী হবে সরকার পক্ষ তার কৌশল নির্ধারণ করেছেন। রায়ে খালেদার সাজা হলে সরকার বলবে, আদালত তার রায় নির্ধারণ করেছে, এর বিরোধিতা করা আদালতের প্রতি অসম্মান দেখানো। আর রায়ে যদি তেমন কিছু না হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ বলবে, সরকার বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করে বিএনপির এ কথা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
আইনজীবীরা বলেছেন, এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপিল অযোগ্য ঘোষণা আসতে পারে। খালেদা জিয়ার জেল হতে পারে। তখন তার বাসভবনকে সাব-জেল করা হতে পারে। আবার দু-এক দিনের জন্য কারাগারে থেকে আপিলে তিনি জামিন নিতে পারেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, এসব দিক বিবেচনা করে বিএনপি আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আর আওয়ামী লীগ তাদের আন্দোলন প্রতিহত করতে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে এই রায়কে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতপূর্ণ হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।