শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার মামলা নিয়ে এতটা উৎকণ্ঠার কারণ, তিনি দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই মামলার অভিযোগের সাথে বেগম জিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কতগুলো জাল কাগজপত্র তৈরী করে মামলাটি দাঁড় করানো হয়েছে। বেগম জিয়াকে সাজা দিলে বিএনপি দলীয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার পতনের ডাক দিবে। টিভিএনএ-এর সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঘায়েল করতে দুদকের মাধ্যমে সরকার মামলাটি করেছে। মামলার অভিযোগ কতটুকু ন্যায়সঙ্গত সেটা বিবেচনা না করে ধারা ৪০৯-এর অধীনে সরকার বেগম জিয়ার যাবতজ্জীবন শাস্তি চেয়েছে। এই মামলার মোট ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩১ জন সাক্ষীর কেউ বলেনি বেগম জিয়া এই মামলার সাথে জড়িত। ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মামলার মূল নথি পাওয়া যায়নি। তারা নিজেরাই এটা স্বীকার করেছেন। যে কারণে তারা একটি ছায়া নথী তৈরি করেছেন। কিন্তু এই ছায়া নথিতে একাধিক সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, এই কাগজগুলো রাষ্ট্রপতির লেটার হেডে নোট করা। রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা আমরা ১৯৯১ সালে শেষ করে দিয়েছি। সুতরাং এটা প্রধানমন্ত্রীর নোটসিটে থাকা উচিত ছিল। এই ১০-১২ পাতার নোটে বেগম জিয়ার কোনো স্বাক্ষর নেই। সুতরাং এটি একটি ডকুমেন্টবিহীন ভূয়া মামলা।
মওদুদ বলেন, ৩ বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মামলাটি করা হয়েছে। ট্রাস্ট অ্যাক্টের ২৩ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, ট্রাস্ট্রের ব্যাপারে যদি কোনো অনিয়ম দেখা দেয় তাহলে ট্রাস্ট অ্যাক্টের সেকশন ৪৩-এর আওতায় মামলা করতে হবে। তারা যে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনের কথা এ মামলায় বলছেন এটা কোনোভাবে প্রযোজ্য নয়। সুতরাং সবকিছু বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা দেখি, এটা ফৌজদারী নয় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা।