শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন

মোর্স কোড কী?

মোর্স কোড কী?

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক:: মোর্স কোড হল একটি সাংকেতিক ভাষা যা পয়েন্ট (.) এবং ড্যাশ (-) দ্বারা প্রতিটি অক্ষর, সংখ্যা, এবং কিছু বিশেষ চিহ্ন উপস্থাপন করে। মোর্স কোডের মাধ্যমে বিভিন্ন সংকেত পাঠানো যায় এবং এটি বিভিন্ন সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়। রেডিও যোগাযোগের জন্য প্রথম দিকে মোর্স কোড ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হত।

এমনকি বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেও টেলিগ্রাফ লাইন, সমুদ্রের নিচের কেবল এবং রেডিও সার্কিটে দ্রুতগতির যোগাযোগ মোর্স কোডের মাধ্যমে করা হত। পেশাগতভাবে পাইলট, এয়ার ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণকারী, জাহাজের ক্যাপ্টেন, সামুদ্রিক স্টেশন চালনাকারীদের মোর্স কোডে খুবই ভাল দক্ষতা থাকতে হয়।

মোর্স কোডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি নানারকম ভাবে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা যায়। শব্দ, চিহ্ন, পাল্স, রেডিও সিগন্যাল, রেডিও অন অফ, আয়নার আলো, লাইট অন অফ ইত্যাদি নানা উপায়ে মোর্স কোডের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করা যায়। একারণেই সেফ আওয়ার সোলস ‘এসওএস’ মেসেজ পাঠানোর জন্য মোর্স কোড সবচেয়ে উপযোগী।

সাধারণত দুটি উপাদানের মাধ্যমে কিছু প্রকাশ করতে আরও তিনটি উপাদান দরকার হয়। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে কিছু প্রকাশ করতে প্রকৃতপক্ষে পাঁচটি উপাদান দরকার। উপাদানগুলো নিম্নে দেয়া হল :

(.) যাকে ‘ডট’ বা ‘টরে’ বলে।
(-) যাকে ‘ডেশ’ বা ‘টক্কা’ বলে।

ডট এবং ডেশের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান। (ফাঁকা স্থানটাই উপাদান) দুটি বর্ণের মধ্যের ফাঁকা স্থান। দুটি শব্দের মধ্যের ফাঁকা স্থান। উপরিউক্ত উপাদানগুলোই বিভিন্ন বিন্যাসে ব্যবহার করে মোর্স কোডের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়। মোর্স কোডের উপাদান পাঁচটি হলেও যেহেতু এর মূল উপাদান দুটি তাই একে বাইনারির মাধ্যমও প্রকাশ করা যায়।

মোর্স কোড স্যামুয়েল মোর্স এর নামে নামকরণ করা হয়েছে। স্যামুয়েল মোর্স ১৮৪০ সালে বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ যোগাযোগের জন্য প্রথম এ কোড তৈরি করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল কমিউনিকেশন কমিশন এখনও সামুদ্রিক যোগাযোগের জন্য মোর্স কোড ব্যবহার করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com