মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:: বাংলাদেশের একটি বৃহৎ উপজেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর। ভারতের সীমান্তবর্তী এই উপজেলাটি ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রায় ৪৭ কিলোমিটার সীমান্ত। ১৯৮৩ সালে ৪৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দৌলতপুর থানাকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে বৃহৎ উপজেলাটিতে প্রায় ৮ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। অত্যন্ত ঘনবসতীর এই উপজেলাটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি মিল কারখানা। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের। উপজেলাটিতে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মিল কারখানা গুলিতে মাঝে মধ্যেই ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আর এসব অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এক নিমেষেই পুড়ে শেষ হয়ে যায় মানুষের স্বপ্ন। এসব অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসতে আসতেই সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর আগে। পরিবর্তন হয়েছে অনেক সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজও বৃহৎ এই উপজেলাটিতে নির্মিত হয়নি ফায়ার সার্ভিস। এত বছরেও ফায়ার সার্ভিস নির্মিত না হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে উঠে আসে জায়গা জমি নির্ধারণ না হওয়া। অবশেষে গত বছর জমির জটিলতার অবসান ঘটে। গত ২০২২ সালে উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের চুয়ামেলিক পাড়া গ্রামের মৃত আবুল খায়ের সাদ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বানু তার বসতবাড়ির ৮২ শতাংশ জায়গা ফায়ার সার্ভিসকে দান করেছেন।
জমিদাতা নিঃসন্তান হাসিনা বানুর দাবি, তার মৃত্যুর আগেই যেন তার বসতভিটাতে নির্মিত হয় ফায়ার সার্ভিস। হাসিনা বানুর পাশাপাশি ফায়ার স্টেশনটি বাস্তবায়নে জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলাটির বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওবায়দুল্লাহ জানান, ফায়ার সার্ভিস নির্মাণ করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যেকোনো সময় দৃশ্যমান হবে অবকাঠামো।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর জানে আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, দৌলতপুর ফায়ার স্টেশনের জন্য অলরেডি জনবলও নিয়োগ দেওয়া আছে। বর্তমানে এটি সরকারের দুই নম্বার প্রকল্পে আছে, একনেকে পাস হলেই অবকাঠামো দৃশ্যমান হবে।