বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাইট্যংপাড়া এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের অন্যতম শাহ আলম সারাদেশে মাদক বিক্রির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু মাদক ব্যবসাই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তার নিয়ন্ত্রণে নারী পাচার চক্রের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে।
টেকনাফ থানায় তার নামে মাদক, নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও এমপি মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলাধীন লাইট্যংপাড়া এলাকার মৃত মুমিন উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম দীর্ঘদিন যাবৎ নানা প্রকার অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। মাদক ব্যবসা, নারী পাচার ও রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট বানিয়ে দেয়া এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী, এমপি ও সরকারি কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজন পরিচয় দিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে চাকুরি দেয়া, বিদেশ পাঠানোসহ বিভিন্ন ধরনের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে পাওনাদারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
ভুক্তভোগী আলমগীর কবির জানান, শাহ আলম রাজধানীর মালিবাগস্থ জিএম ম্যানশনে অবদান পত্রিকার সম্পাদক এস এম হানিফ আলীর অফিসে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতো। এ কারণে শাহ আলমের সাথে তার পরিচয় ঘটে। একপর্যায়ে শাহ আলম কথা প্রসঙ্গে তাদেরকে বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ে যদি কোন কাজ থাকে তাহলে সে কাজটি ১৫ দিনের মধ্যে তথ্য মন্ত্রীর ভাগ্নের মাধ্যমে করিয়ে দিতে পারবে।
বন্ধুত্বের সুবাদে তাকে বিশ্বাস করে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আলমগীর তার আত্মীয়ের অনলাইন নিউজ পোর্টাল magpienews24.com ও অবদান পত্রিকার সম্পাদক এসএম হানিফ আলীর তার অনলাইন নিউজ পোর্টাল jn24 news.com এর ছাড়পত্র করে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা ও কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন।
কিন্তু অদ্যবধি সে তাদের অনলাইন নিউজ পোর্টালের ছাড়পত্র করে দিতে পারেনি। আর টাকাও ফেরত দেয়নি। টাকা চাইলে নানা অজুহাতে তালবাহানাসহ সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এখন টাকা চাইলে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। এ কারণে আলমগীর কবির হাতিরঝিল থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নং-৯২৫, তাং-১৫/০২/২০২৩ইং। জিডির সূত্রে আদালত আলমগীর কবিরের বক্তব্য গ্রহণ করেছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলমান।
অপর ভুক্তভোগী নড়াইলের নড়াগাতি থানার তারেক রহমান বলেন, শাহ আলম আমার বন্ধুকে এক মামলা থেকে জামিন করে দেওয়ার কথা বলে আমার নিকট থেকে ১ বছর আগে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে কাজও করে দেয়নি টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা।