শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:: বিভিন্ন প্লেকাড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সাথে অভিবাবক ও এলাকাবাসি উপস্থিত ব্যানার নিয়ে। সবাই নদীর তীরে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছে নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে। কুড়িগ্রামের উলিপুর ও রৌমারী উপজেলার নদী ভাঙ্গন রোধের দাবীতে নদীর তীরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের চিত্র এটি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে উলিপুরের সাহেবের আলগা ইউনিয়ন, রৌমারীর চর শৌলমারি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের শিকার ও নদী তীরবর্তী মানুষের উদ্যোগে সুখের বাতি চরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয়সহ শত শত মানুষ অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গেল কয়েক বছর ধরে ভাঙনের কবলে পড়ে স্থানীয় কয়েক কিলোমিটার এলাকার বাড়িঘরসহ কৃষি জমি বিলীন হয়েছে। গত দুই মাসে ৫ শতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী পাড়ে ভাঙন আতংকে আমরা বসবাস করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষা করা না হলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
সাহেবের আলগা ইউপি সদস্য নুরনবী প্রামানিক বলেন, সুখের বাতি আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীর তীরে চলে আসছে। যে কোন মুহূর্তে নদী গর্ভে চলে যেতে পারে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নদী পাড়ের মানুষের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, নদী ভাঙন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার্থে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত দুই মাসে উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের সুখের চর, খেওয়ার চর ও রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারি, খাওরিয়া, নয়াপাড়া ও সোনাপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে প্রায় ৫ শতাধিক বসতবাড়ি ও ১০ একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন আতংকে রয়েছে সুখের বাতি আদর্শগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।