সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

বীরগঞ্জে সংসারের দাবীতে অনশন করে স্ত্রী এখন হাসপাতালে

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃঃ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের প্রেম করে বিয়ের পর নব বিবাহিতা স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে থাকলে ওই স্ত্রী সংসারের দাবীতে স্বামীর বাড়িতে গেলে শ্বশুড়বাড়ীর লোকজনের মারপিটের আঘাতে সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কালাপুকুর (জিয়াকুড়ী) গ্রামের তরিকুল পাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের পুত্র রংপুর প্যারামেডিকেল কলেজ হতে পাশ করা মনিরুজ্জামান মিলন (২২) প্রেমের প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করে নব বিবাহিত স্ত্রীকে ফেলে পলিয়ে এসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখে গা ঢাকা দেয় লম্পট স্বামী। স্বামীর খোজে ৩ ফেব্রুয়ারী সকালে সংসারের দাবীতে স্বামীর বাড়িতে মারপিট ও লাঞ্চিতের স্বিকার হয়ে দ্ধারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ায় স্ত্রী আরমিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংবাদ পেয়ে ৮ ফেব্রুয়ারী ঘটনাস্থালে গিয়ে স্ত্রী আরমিনা আক্তার শিরিন (১৮) এর সাথ যোগাযোগ করা হলে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন কহরপাড়া গ্রামের কৃষক আলম হোসেনের কন্যা ও ঠাকুরগাঁও সরকারী কলেজের ছাত্রী শিরিন। গত ৩/৪ মাস পূর্বে মনিরুজ্জামান মিলনের চাচাতো বড় ভাই শাহিনুরের বিয়ে আরমিনার খালাতো বোন বিজলী আক্তারের সাথে সম্পন্য হলে সে সুত্র ধরে মিলন ও আরমিনার বিয়াই ও বিয়ান হওয়ার সুবাধে তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক ঘটে। যোগাযোগ ও যাতায়াতের মাধ্যমে তাদের সর্ম্পক গভির হওয়ার ফলে গত ১৭/০১/২০১৮ ইং তারিখে নারগুন কহরপাড়ায় আরমিনর সাথে দেখা করতে প্রেমিক মিলন গেলে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় ধরা পড়ে, লস্পট মিলন ৯ লক্ষ ৯হাজার ৯ শত ৯৯ টাকা দেনমহরের মাধ্যমে বিয়ে করে নিজেকে রক্ষা করে ঐ বাড়িতেই অবস্থান নেয়া। ৫/৭দিন পর মিলনের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ৮ নং ভোগনগর ইউনিয়নের ৫ ওয়ার্ড মেম্বার মৃত আজমলের পুত্র হেলাল আরমিনাদের বাড়িতে গিয়ে মিলনের মায়ের অসুখের কথা বলে শশুর শাশুড়ির অনুমতি নিয়ে মিলনকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে এসে মোবাইল ফোন বন্দ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। যোগাযোগ না পেয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারী আরমিনা স্বামীর খোজে ও সংসারের দাবীতে বীরগঞ্জ উপজেলার জিয়াখুড়ী স্বামীর বাড়ীতে এলে মৃত রমিজ উদ্দিনের পুত্র তরিকুল, হেলাল মেম্বার, মিলেনের ভগ্নীপতি সহ তার পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে মারধর করে টানা হিচড়া করে বাড়ী হতে বের করে দিয়ে মেয়েটিকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তরিকুল দৌড়লাপ শুরু করে।
কনকনে শীতের রাতে মারধর খাওয়া অসুস্থ আরমিনা পাশ^বতী ১টি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে নিজ বাড়ীতে ঘটনার সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে আরমিনার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছালে হেলাল মেম্বার ও তরিকুল আপোশের কথা বলে কালক্ষেপন করতে থাকে।
পরিশেষে গত ৭ ফেব্রুয়ারী ইউপি কার্যালয়ে গভির রাতে আপোশ মিমাংশার বৈঠক বসলে আরমিনা স্বামী ও সংসারের দাবী করলে তরিকুল ও হেলাল মেম্বার টাকার বিনিময়ে আপোশের প্রস্তাব দেয়। তারই প্রতিবাদে আরমিনা আত্ম্যহত্যার পথ বেছে নেয়। আরমিনার আত্মিয়রা তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে পাশ^র্বতী ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এরিপোট লেখা পর্যন্ত আরমিনার মা মুঠোফোনে জানায়, আরমিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2020  E-Kantha24
Technical Helped by Titans It Solution