শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
মো. নাজমুল ইসলাম (মিলন) দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের চৌধুরীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান খানের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা এবং মহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান চৌধুরী শাহীনের নেতৃত্বে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে শনিবার ১৭ আগষ্ট ছুটির দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনের নাম ব্যবহার করে অর্ধ শতাধিক ছাত্র জনতাকে নিয়ে স্কুলের আহবায়ক কমিটির সম্মানিত সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আলহাজ্ব আবু সামা মিয়া ঠান্ডু কে বিদ্যালয়ে উপস্থিত করে বিধি বহির্ভুত, আন্দোলন করে।এ সময় বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার সময় কালে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগকৃত তিনজন কর্মচারীকে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাদের স্ব-হস্তে সাদা কাগজে ঘুষ লেনদেনের অঙ্গিকার নামা লিখে নেয়াসহ প্রধান শিক্ষক কে যেকোন মুল্যে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘোষনা দেয় চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান চৌধুরী শাহীন।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী এবং সাবেক সভাপতি প্রভাষক জিয়াউর রহমান জিয়া দুজনেই বিপরীত মেরুর দলীয় রাজনীতিবিদ এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বলে এগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে দাবী এলাকাবাসীর।উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, এমনকি যে কোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের কারনে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করেছেন।
সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী নিজেই চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ প্রতিষ্ঠা করে অনেক দূর্নীতিসহ জাল জালিয়াতি করেছেন।তার স্ত্রীকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে ঐ কলেজের অধ্যক্ষ বানিয়ে দীর্ঘদিন চাকুরী করিয়েছেন, অতঃপর জালিয়াতির ঘটনাটি ফাঁস হলে তার স্ত্রী’র চাকুরী চলে যায়।প্রতারণা করে অভিযুক্ত ওই অধ্যক্ষ দীর্ঘ ১৫ বছরের অধিক সময়কাল অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বিল-বেতন-ভাতা কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করলেও এখনো সরকারি কষাগারে ওই অর্থ জমাদান করেন নাই, তাই বিষয়টি সরকারের নজরে আনতে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও সংশ্লিষ্টরা মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যপারে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিএনপি নেতা ও চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরীর কারনে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হতে চলেছে, তিনি মারাত্মক নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবে অনেকটাই দিশেহারা অবস্থায় রয়েছেন। নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিধি মোতাবেক কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে, কোন প্রকার অনিয়ম বা ঘুষ দূর্নীতি হয় নাই। চেয়ারম্যানের বিভিন্ন হুমকির বিরুদ্ধে ইতেমধ্যে প্রশাসন এবং সেনা প্রশাসনকে ঘটনাটি অবগত করা হয়েছে, তারা বিদ্যালয় পরিদশন করেন।
বীরগঞ্জ উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনের নেতা ফয়জুর রহমান সজীব বলেন, উপজেলায় ও ইউনিয়নে ছাত্রদের কোন কমিটি হয় নাই। ছাত্রদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ২/৪ জন সুযোগ সন্ধানী ব্যাক্তি নিজের স্বার্থ হাসিলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।ছাত্রদের নাম ব্যবহার করে শিক্ষাঙ্গনে অরাজকতা সৃষ্টি, বাড়িঘরে জ্বালাও পোড়াও সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ব্যপারে ছাত্র ও জনতাকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।ছাত্ররা যেনো কারো কথায় ব্যবহার না হয় এটার আবেদন জানাই।