বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হল যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এলন মাস্কের বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্পেস এক্সের ফ্যালকন হেভির।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে হয় উৎক্ষেপণ। সেখান থেকেই একসময় শুরু হয়েছিল চন্দ্র অভিযান। নিঃসন্দেহে বিলিয়নেয়ার উদ্যোগপতি এলন মাস্কের ব্যক্তিগত রকেট কোম্পানির জন্য এটা একটা নয়া মাইলফলক।
কেপ ক্যানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় বিকেল পৌনে ৩টায় এ লাল টেসলা রোডস্টার অটোমোবাইল নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় ২৩তলার সমান জাম্বো রকেট। উৎক্ষেপণের লাইভ ভিডিও দেখে ক্যালিফোর্নিয়ার হথোর্নে কোম্পানির হেডকোয়ার্টারে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কর্মীরা। এই রকেটের প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সাক্ষী থাকতে স্পেস সেন্টার থেকে ৮ কিলোমটিার দূরে কোকো বিচের কাছে ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। বড় ধরনের কোনো ঝামেলা ছাড়াই আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর দিয়ে একটি উড়ে যায়। পরীক্ষামূলক এই ফ্লাইটকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছিল।
রকেটটি উৎক্ষেপণ-সফলতায় আনন্দ প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৪৬ বছর বয়সী এ প্রযুক্তিবিদ বলেন, নতুন রকেট তৈরির পর চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, এর সফলতার হার ছিল ৫০-৫০। বিশাল এক বিস্ফোরণের আশঙ্কা ছিল। সৌভাগ্য যে এ রকম কিছু ঘটেনি। পরীক্ষা সফল হওয়ায় ফ্যালকন হেভি রকেটটি সবচেয়ে সক্ষম মহাকাশযান উৎক্ষেপণ যান হিসেবে গণ্য হবে। এর উদ্দেশ্যে হচ্ছে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে যন্ত্রপাতি পাঠানো।
এই রকেটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি আগের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটের চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ বেশি ভার বহন করতে পারবে। এটি মোট ৬৪ টন ওজনের বস্তু পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আর এ কারণেই এর যাত্রা নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছে কৌতূহলের সীমা ছিল না। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই রকেটযাত্রা মহাকাশযাত্রায় নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।