মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: লালমনিরহাট জেলা যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান ভিপি আনিছকে শোকজ করে পত্র জারি করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া স্বাক্ষরীত নোটিশে তাকে শোকজ করা হয়।
এর আগে যুবদল নেতা আনিছুর রহমান ভিপি আনিছের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তা চেয়ে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজিব কায়সার সদর থানার সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
শোকজ নোটিশ ও জিডি সুত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজিব কায়সার তার দপ্তরে একটি দরপত্র আহবান করেন। সেই দরপত্রের বিষয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দলবল নিয়ে প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান জেলা যুবদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান ভিপি আনিছ। এ সময় প্রকৌশলী কার্যালয়ের বাহিরে থাকায় অন্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের গালিগালাজ ও হুমকী প্রদান করেন তিনি। এক পর্যায়ে কর্মচারীর ফোনে প্রকৌশলীকে কল করে নানান ভাবে গালিগালাজ ও হুমকী প্রদান করেন আনিছ। এ ঘটনায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট সদর থানায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন প্রকৌশলী নাজিব কায়সার।
এ দিকে সোমবার যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরীত একটি শোকজ পত্র পাঠানো হয় ভিপি আনিছকে। শোকজে বলা হয়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারনে ইতিপুর্বে জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হলেও আপনি(আনিছুর রহমান ভিপি আনিছ) নিজেকে সংশোধন না করে পুনরায় সংগঠনের নিয়ম বহির্ভুত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমন্ত অবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার উপযুক্ত জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সম্পাদকের সামনে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দাখিল করতে হবে।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সম্পাদক মোহাম্মদ নূরল ইসলাম নয়নের নির্দেশক্রমে সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া শোকজ পত্র পাঠান।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের পথ্যের দরপত্র দাখিলে বাঁধা ও হামলা লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় জুলহাস নামে যুবদলের একজন নেতাকে আটক করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। পরে কোন অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার পরদিন লালমনিরহাট জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
শোকজ প্রাপ্ত বিলুপ্ত জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান ভিপি আনিছকে একাধিকবার ফোন করেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) বাদল কুমার মন্ডল বলেন, ওসি স্যার ছুটিতে রয়েছেন। তাই জিডি’র বিষয়টি তিনি ভাল বলতে পারবেন।
রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজিব কায়সার বলেন, তার নিজের ও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছি। আইনানুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।