রবিবার, ২০ Jul ২০২৫, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দোহারের আলোচিত বিএনপি নেতা হারুন হত্যার ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে এ বিষয়ে দোহার থানা পুলিশের কোনো গাফলতি নেই বলে দাবি করেন দোহার সার্কেলের জেষ্ঠ্য সহকারি পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম।
তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত এজাহার জমা দেয়নি।
শুক্রবার(৪ জুলাই) সকাল ১১ টায় দোহার উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি নেতা ও শিক্ষক হারুনুর রশিদের মৃত্যুর বিষয়ে খোঁজ নিতে বাহ্রা হারুনের বাড়িতে যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ঢাকার নবাবগঞ্জের আব্দুল মান্নানের মেয়ে ব্যারিষ্টার মেহনাজ মান্নান। তিনি বিএনপির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীমের স্ত্রী।
এসময় মেহনাজ মান্নান হারুনের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, এ খুনের ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক প্রশাসনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দোহার নবাবগঞ্জে কোনো খুনি সন্ত্রাসীর স্থান হবে না। বিএনপি সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। আগামীর দোহার নবাবগঞ্জ হবে শান্তির মডেল। কোনো চাঁদাবাজ ও দখলবাজের স্থান থাকবে না। এসময় হারুন মাষ্টারের পরিবারকে সব ধরনের আইনী সহায়তা করার আশ্বাস দেন বিএনপির এ নেত্রী।
হত্যার বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, হত্যার ঘটনাস্থলের আশপাশের কিছু সিসি ক্যামেরা থেকে মোটরসাইকেল আরোহী তিন যুবকের ছবি পাওয়া গেছে। মনে হচ্ছে গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে তাঁরা ওখানে যাতায়াত করেছে। আর হত্যাকান্ডের সময় তিন যুবকের উপস্থিতির কথা প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছে। সেই দিকে নজর রেখে পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনী সিসি ফুটেজে থাকা তিন যুবকের বিষয়ে নিশ্চিত হতে চেষ্টা করছে। এছাড়া দলীয় কোন্দল ও পদ্মায় বালু তোলার বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিহতের ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আজকের (শুক্রবার) মধ্যেই মামলার জন্য এজাহার জমা দেয়া হবে। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে ও শাস্তি নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা চাই।
উল্লেখ্য গত বুধবার সকাল ৬টার দিকে দোহারের ধোয়াইর এলাকায় নদীর পারে হাঁটতে গেলে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও স্কুল শিক্ষক হারুনুর রশিদকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে সন্ত্রাসীরা।