বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন মাত্র ১৬’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম। সেখান থেকে ৪ হাজার ৩’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাড়িয়েছিলাম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর সেটা বৃদ্ধি করেনি, তারা কমিয়েছিল।
অাজ রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে যখন আমরা ক্ষমতায় আসি তখন দেখি বিদ্যুৎ ৪ হাজার ৩’শ থেকে কমে মাত্র ৩ হাজার ২’শ তে নেমে এসেছে। এ অবস্থা থেকে আজকে আমরা ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন নয় তার জন্য সঞ্চালন লাইন করা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য স্টেশন তৈরি করা এবং বিভিন্নভাবে এ কাজগুলো আমরা করে যাচ্ছি। দেশের ১০ ভাগ মানুষ এমনিতে বিদ্যুৎ পাবে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধি দেশ হিসেবে গড়তে চাই। এ দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে আলো জ্বালাবো এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। আমাদের দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। যেখানে গ্রিড লাইন আছে, আবার যেখানে গ্রিড লাইন নাই সেখানে আমরা সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা যত বাড়ছে, তত বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই এ চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা বিভিন্ন বিদ্যুৎ, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তারপর আমরা ভারতের থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করছি। আমরা নেপাল, ভুটান তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি যেন জলবিদ্যুৎ দিতে পারি। আমাদের যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছি। বিদ্যুৎ দিলে মানুষের জীবন-জীবিকার পথ খুলে যায়।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল। কোনো কোনো এলাকায় সারাদিন বিদ্যুৎ থাকে না। সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না হওয়ার ফলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বেসরকারি খাতকেও উম্মুক্ত করে দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের উন্নত জীবন চাই। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন মানুষকে আজকে তার জীবন মান উন্নয়নে নতুন সুযোগ করে দিচ্ছে। কাজেই আমি আনন্দিত, জাপান সরকারকে সবসময় আমাদের পাশে পেয়েছি। সূত্র : একাত্তর টিভি