মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
বশির আহমেদ, বান্দরবান প্রতিনিধিঃঃ বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-এ- মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহ্ফিল-২০১৮ উদ্যাপিত হয়েছে। ২৫ জানুয়ালী বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত শেষ হয়। বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে মাহ্ফিলের আয়োজন করা হয়। পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহ্ফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধ ও গঠনমূলক ইসলামী আলোচনা করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।এতে সভাপতিত্ব করেন কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুকুমার দত্ত। মাহ্ফিলে প্রধান ইসলামী আলোচক হিসেবে কোরআন ও হাদীস শরীফের আলোকে ইসলামী আলোচনা করেন বান্দরবান বাজার শাহী মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা এহসানুল হক আল মঈন, মাহফিলে বিশেষ বক্তা হিসেবে পবিত্র কোরআন হাদীস রাসুল (সাঃ) জীবনীর উপর গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী আলোচনা করেন কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মোঃ হেমায়েত উল্লাহ,কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ধর্মীয় শিক্ষক মাওঃ আব্দুল আলিম। মাহ্ফিলে সঞ্চলনা করেন কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ইফতিখার আরিফিন,প্রভাষক শাহাদত হোসেন। এছাড়াও মাহ্ফিলে সহযোগিতা ও দায়িত্ব পালন করেন কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিম, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হক,ধর্মীয় শিক্ষক মোঃ মাসুদুর রহমান সহ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অন্যান প্রভাষক ও শিক্ষক বৃন্দ। কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকগণও উপস্থিত ছিলেন। ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিলে বক্তারা বলেন, পবিত্র কোরআন হচ্ছে সমগ্র মানব জাতির জন্য মাহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি সংবিধান,এই কোরআনের মধ্যে ইসলাম যে একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা তা প্রকাশ করেছেন মাহান আল্লাহ,মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন, রাসূল (সাঃ) তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পরিপূর্ণ ভাবে পালন করেছেন, তিনি তাঁর উম্মতের জন্য বহু কষ্ঠ নির্জাতন সহ্য করেছেন,একমাত্র ইসলাম ধর্ম কায়েম করার জন্য। ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম,ইসলামে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস,বোমা বাজদের কোন স্থান নেই,মানুষকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা ইসলামে হারাম,ইউহুুদী মুশরিকরা কিছু বিপদগামী মুসলমান নাধারী কিছু অসৎ লোকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে জঙ্গীবাদী-সন্ত্রাসবাদী ধর্ম হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিতি করার জন্য গভীর সড়যন্ত্র করছে ইউহুুদী-খৃস্ট্রানরা।আর মুসলমানরা আজ কোরআন থেকে দুরে সরে আসার কারণে সারা বিশ্বে জুলুম,অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। আল্লাহর হুকুম পালন না করার কারনে মুসলমানদের মাঝে মধ্যে আল্লাহ পরিক্ষা করে থাকেন,বান্দা তার পাপ থেকে ফিরে এসে তওবা করলে মহান আল্লাহ সেই আজাব থেকে মুক্ত করে দেন।বক্তারা আরো বলেন,ইসলামের পাচঁটি স্তম্ভ এর মধ্যে নামায অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ কাজ, এই পাচঁ ওয়াক্ত নামায সঠিক ভাবে আদায় না কারনে আজ চারিদিকে অশান্তি,ঝগড়া-বিবেদ শেষ হচ্চে না।আসুন আমরা সকলে আল্লাহর হুকুম আহকাম ও রাসুল (সাঃ) এর তরীকা মতে আমাদের জীবন গড়ি,তাহলে ইহকাল ও পরকালে শান্তি পাবো। পরিশেষে দেশ ও সমগ্র সৃষ্টি জগতের ইহকালিন ও পরকালিন কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।