সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: বাংলাদেশ ব্যাংকের মহানিরাপত্তা এলাকার কয়েন ভল্টে সাবেক ও বর্তমান তিন শতাধিক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লকার খোলার অনুমতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন সংস্থাটির এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ অনুমতি দেন।
দুদকের পরিচালক কাজী সাইমুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ অনুমতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
এর আগে দুদকের এক চিঠির প্রেক্ষিতে এসব লকার ফ্রিজ করা হয়। লকারগুলোতে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ মজুত রয়েছে বলে সন্দেহ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ বিষয়ে দুদকের বিশেষ পিপি বলেন, এসব লকারে সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ থাকতে পারে বলে দুদকের সন্দেহ। এ কারণে লকার খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
পিপি জানান, দুদক লকারগুলো খোলার আগে সেখান থেকে কোনো অর্থ বা সম্পদ যাতে কেউ স্থানান্তর করতে না পারে সে ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।
এদিকে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর লকার খুলে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। ওই অভিযানকালে তিন শতাধিক ব্যাংক কর্মকর্তার নামে লকারের তথ্য পায় দুদক, যার মধ্যে রিজার্ভ চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত ব্যক্তির নামও রয়েছে।
আবেদনে দুদক কর্মকর্তা বলেন, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে গত ২৬ জানুয়ারি সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি লকার খুলেছিলেন তারা। ওই সময়ে দুদক দেখতে পায়, সেখানে ওই ব্যাংকের আরও অনেক কর্মকর্তার লকার রয়েছে। বারবার নোটিশ দিয়েও এসকে সুর সম্পদের বিবরণ না দেওয়ায় আদালতের নির্দেশে দুদক এই অভিযান চালায়।