শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
বগুড়া প্রতিনিধি:: বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও ৯ জন।
রবিবার (৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত একজনের নাম মুনিরুল ইসলাম (৩৪)। তার বাড়ি কাহালু উপজেলার বীরকেদার এলাকায়। মুনিরুল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। অন্যজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনাকারীরা অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলার সামনে সকাল ১০টার দিকে অবস্থান নেন। সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন। সেখানেই আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। এক সময় উত্তেজিত জনতা নেতাকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে হামলা করেন। পরে সেখানে থাকা একটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়। উপজেলা ভূমি অফিসসহ একাধিক সরকারি স্থাপনায় হামলা করা হয়। এ সময় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ থানার মধ্যে অবস্থান নেন। তখন আন্দোলনকারীরা থানার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে থানার মধ্যে থেকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। এ সময় ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে আহত হয়ে মুনিরুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।
একজনের মারা যাওয়া খবর নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. শামসুন্নাহার। মুনিরুলের মাথায় গুলি লেগেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সংঘর্ষে আহত একজনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (শজিমেক) নিয়ে আসার পর মৃত ঘোষণা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শজিমেক হাসপাতালে উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ। তবে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন কিনা, তার নাম পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি ওয়াদুদ।