শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

বই সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্র প্রসারিত করে: প্রধানমন্ত্রী

ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বই সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্র প্রসারিত করে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমি চত্বরে বাঙালির প্রাণের (অমর একুশে গ্রন্থমেলা) মেলা উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী এবছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনা পয়সায় আমরা কেবল বইই দিই না, বই উৎসব করি। বাংলা একাডেমি চত্বর ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ৫ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে আয়োজন করা হয়েছে এবারের মেলা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ১২টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩৬টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৮৩টি ইউনিটসহ মোট ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ হাজার ৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গ্রন্থমেলায় টিএসসি, দোয়েল চত্বর দিয়ে দু’টো মূল প্রবেশপথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাইরের ৬টি পথ থাকবে। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশে থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা।

গ্রন্থমেলা ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি-সমকালীন প্রসঙ্গ এবং বিশিষ্ট বাঙালি মনীষীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মাসব্যাপী প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

এবারো গ্রন্থমেলা উপলক্ষে ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন থাকছে। সম্মেলনে বাংলাদেশ, ফ্রান্স, স্পেন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ ৮টি দেশের ১৫ জন কবি-লেখক-বুদ্ধিজীবী অংশ নেবেন। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিরাপত্তাকর্মীরা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলা এলাকাজুড়ে ২৫০টি ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার (সিসি) ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রন্থমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে।

বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2020  E-Kantha24
Technical Helped by Titans It Solution