সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক:: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় শেখ মোরসালিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সেঁজুতি বিনতে সোহেল বাদী হয়ে যৌতুকের মামলা দায়ের করেছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামি শেখ মোরসালিনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সেঁজুতি বিনতে সোহেলের আইনজীবী ইশফাকুর ররহমান গালিব বলেছেন, প্রেমের সম্পর্কের পর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতির বিয়ে হয়। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে আসামি বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। আসামি বাদীর কাছে গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা যৌতুকও দাবি করেছেন। বাদী ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে এসেছেন।
এ বিষয়ে সেঁজুতি বিনতে সোহেল বলেছেন, প্রেমের সম্পর্কের পর মোরসালিনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার আচরণে পরিবর্তন এসেছে। আমার কাছে যৌতুক চেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। আমি তার সাথে সংসার করতে চাই।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে সেঁজুতি বিনতে সোহেলের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন মোরসালিন। বিয়ের পর সেঁজুতি বুঝতে পারেন মোরসালিন পরধনলোভী এবং পরনারীতে আসক্ত। আসামি যৌতুক দাবি করে বারবার বাদীকে মানসিক চাপ দেন এবং সেঁজুতির বাবার সব সম্পত্তি বিক্রি করে নগদ টাকা মোরসালিনের হাতে তুলে দিতে বলেন। এরপর বাদী অনুনয় করে আসামিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তার বাবা-মার যা সাধ্য ছিল, তা বিয়ের সময় খরচ করেছেন। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দিলে তাদের পথে বসতে হবে।
মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, শতবার বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও মোরসালিন সেঁজুতির ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। সেঁজুতি অন্য উপায় না দেখে বাবার বাসায় চলে যান।
পরে ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টার সময় মোরসালিন শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সময় সেঁজুতি মোরসালিনের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে গেলে তিনি বলেন, আমি খাবার খেতে আসিনি। ২০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য এসেছি। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেঁজুতির বাবা-মা জানান, ২০ লাখ টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ তাদের নেই। তখন মোরসালিন স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গালি ও হুমকি দিতে থাকেন।