বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আরও অগ্রগতি হওয়ার কথা জানিয়েছে নরওয়ে ও স্পেন। দেশ দুটি বলছে, তারা স্বীকৃতি দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
এদিকে আয়ারল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, তার দেশ বুধবার (২২ মে) ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। আইরিশ সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে ইসরায়েল। খবর রয়টার্সের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ স্লোভেনিয়া এবং মাল্টাও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। দেশগুলো মনে করে, এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান অপরিহার্য।
বুধবার (২২ মে) নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ার জানান, নরওয়েজিয়ান সরকার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্টোয়ার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই যুদ্ধের মধ্যে যেখানে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে, সেখানে একমাত্র সমাধান হলো ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যাতে রাষ্ট্র দুটি পাশাপাশি শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারে।’
এদিকে বুধবার স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল কনফিডেনশিয়াল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ইতিমধ্যে ১৪০টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গত মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেওয়া হোক’।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ সদস্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড। তবে নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।