বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: প্রতারণা ও অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে হজযাত্রীদের বিভিন্ন অভিযোগের কারণ জানতে সাত হজ এজেন্সিকে তলব করে গত ১৭ জানুয়ারি চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে তদন্ত কমিটির সামনে এই সাত এজেন্সিকে হাজির হতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে হজে প্রতারণা ও অনিয়মসহ বিভিন্ন এজেন্সির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। বেশ ক’জন হজযাত্রী বিভিন্ন এজেন্সির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আনেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে আগামী ২৩ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ধর্ম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। অভিযোগকারী, আইটি প্রতিনিধি ও বিভিন্ন এজেন্সির প্রতিনিধিকে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জরিমানা ছাড়াও এজেন্সি বাতিলের সুপারিশ করা হবে।
মঙ্গলবার যেসব হজ এজেন্সিকে হাজির হতে বলা হয়েছে সেগুলো হলো- কাশেম ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস, এএসএ অ্যাভিয়েশন, এমসিও ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, মাসুম এয়ার ট্রাভেলস, সাদমান ট্রাভেলস, মেসার্স লায়লাতুল কদর ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস ও কে কালাম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর। এছাড়া সৌদি আরবে যথাসময়ে মোয়াল্লেম ফি পরিশোধ না করার বিষয়ে জানতে মেসফালাহ ট্রাভেল কর্তৃপক্ষকে সোমবার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে হাজির হতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গত বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে সৌদিআরব যান। যারমধ্যে এক লাখ ২৩ হাজার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে হজে যান। বাকিরা যান সরকারি ব্যবস্থাপনায়। সৌদি আরব যাওয়ার পর অনেক এজেন্সিই তাদের যাত্রীদের খোঁজ-খবর রাখেন না। এতে নানামুখী বিড়ম্বনায় পড়তে হয় হজযাত্রীদের। হাজিদের প্রতি গাফিলতির অভিযোগে সাত কার্যদিবসের সময় দিয়ে কারণ জানতে চেয়ে ১৪০টি হজ এজেন্সিকে চিঠি দিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) এসএম মনিরুজ্জামান। আগামী বৃহস্পতিবারের (২৫ জানুয়ারি) মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘২০১৮ সালের হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে বৈধ এজেন্সিগুলোর তালিকা প্রকাশিত হবে। আর হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে, চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।’ এবারও এক লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন বলে জানান তিনি।