মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন

পত্রিকার লেখায় সত্যতা না থাকলে সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দিন: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ শেখ হাসিনা বলেছেন, পত্র-পত্রিকা কী লিখলো সেটা দেখে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই, ঘাবড়াবারও কিছু নেই । লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিজের আত্মবিশ্বাস ও বিবেক বিবেচনা দিয়ে কাজ করতে হবে । দেখতে হবে যে সেটার সত্যতা আছে কিনা । যদি না থাকে ওটাকে সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন ।

সোমবার (১৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর ও এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার অনুরোধ পত্র-পত্রিকায় কি লিখল সেটা দেখে নার্ভাস হওয়ারও কিছু নেই, ঘাবড়াবারও কিছু নেই । বরং দেখবেন এর কোনো সত্যতা আছে কি না? যদি না থাকে, ওইটাকে সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন। ওইটা পড়ারও দরকার নেই ।
এটা হলো—আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ ।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি নিজেও অনেক পত্রিকা পড়ি না । কেন? দেশটা আমার । দেশকে ভালোভাবে চিনি, জানি ।
সেই ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, জন্ম নিয়েছি জাতির পিতার ঘরে । এ দেশের কীভাবে ভালো হয়, মন্দ হয় আমাদের জানার কথা বেশি, আর কারও না । আর কেউ জানতে পারে না ।’ এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের করতালি দিতে দেখা যায় ।

সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা ২০১৫ সাল থেকে বৃদ্ধি করে দিয়েছি ।
তার কারণ, আমি চাই যারা কাজ করবেন তাদের যদি অনবরত নিজের সংসার নিয়ে চিন্তা থাকতে হয়, তাহলে দেশের কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না ।’

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে কোনো অনিয়ম দেখা দেবে, আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন । অবশ্যই এখন আমরা দুর্নীতির জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি । দুর্নীতি ধরতে গেলে পরে সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়—আমরা এটা বিশ্বাস করি না । দুর্নীতি খুব কম লোকেই করে কিন্তু তার বদনামটা হয় বেশি । এ কারণে যারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । সরকারের বদনাম হবে কি না, সেটা কেয়ার করি না । আমি সমাজটাকে আরও শুদ্ধ করে দেশের মানুষ কল্যাণে কাজ করে সেই ব্যবস্থাটা নিতে চাই । সেই পদক্ষেপটা নিয়েছি যে, কোনো মতেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না ।’ এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা আনার নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান ।

এবারে দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারে বন্যা আসার সম্ভাবনা আরো বেশি । একটা সময় প্রচণ্ড খরা ছিল । হিমালয়ের বরফ অনেক গলেছে । যে পানিটা চলে গেছে নদী ও সাগরে। যদি সাগরে পানি আরো উচ্চস্তরে পৌঁছে যায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে । সামনে শ্রাবণ-ভাদ্র মাস । এ মাসে বন্যাটা বেশি দেখা দেয় । প্রথমে উত্তর দিকে, ভাদ্র মাসে যায় দক্ষিণ দিকে । সেই দিকে মাথায় রেখে এখন থেকে প্রস্তুত নিতে হবে ।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com