সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৮ অপরাহ্ন
পঞ্চগড় প্রতিনিধি:: পঞ্চগড়ে দুই দিন ধরে ১০ ডিগ্রির ঘরে রয়েছে তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রা ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে হিমালয়কন্যা নামে পরিচিত সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়। গতকাল ৩০ নভেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ঝলমলে রোদ নিয়ে জেগে উঠেছে ভোরের সূর্য। সূর্যের আলো ছড়ালেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। তবে শীত উপেক্ষা করেই কাজে ছুটছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। নবান্নের ধান মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘরের কৃষাণিরা। ভোরে শাকসবজি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
স্থানীয় মেহের আলী, হোসেন আলীসহ কয়েকজন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকেই ঠান্ডা বাড়তে থাকে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত খুবই ঠান্ডা। মনে হচ্ছে পৌষ মাস। তবে সকাল ১০টার পর আর ঠান্ডা থাকে না। দিনে বেশ গরম এখনও। দুই রকম আবহাওয়ার কারণে সর্দিকাশিতে ভুগছি। তবে শীত পর্যটকদের জন্য আনন্দের উল্ল্যেখ করে হাবিব ও সুমন নামের কয়েকজন পর্যটক বলেন, রাজধানী ঢাকায় এখনো ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে হয়। সেখানে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসে শীত উপভোগ করছি আমরা। একদিকে বরফের পাহাড়, একই সঙ্গে শীত দুটোই উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, দুই দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে। রোববার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ৩০ নভেম্বর ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।
এদিকে পঞ্চগড়ে শীতজনিত রোগ বেড়ে গেছে।বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, কাশি, হাঁপানি এবং নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগব্যাধিতে।জেলা সদরসহ উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে এসব রোগী বর্হিবিভাগে ও ভর্তি হয়ে অভ্যন্তরীণ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।