মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জে ক্রয়কৃত জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তাভোগী সোনাহাজরা গ্রামের আব্দুল জলিল। বুধবার সকালে নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলামের নেতৃত্বে রাতের আধারে তাঁদের জমি জবরদখল করেছে প্রশাসন।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জলিল বলেন, গালিমপুর মৌজার আরএস ১৬২৫ নং খতিয়ানভুক্ত আরএস ৩২৯৪ ও ৩২৯৫নং দাগে মোট ৫.২৫ শতাংশ জমি আমি ৯/৭/১৯৯১ তারিখে রেজিষ্ট্রীকৃত ২৭৮৪নং ও ২২/৪/২০১২ তারিখে ২৯৭১নং দুইখন্ড দলিল মূলে ক্রয় করে মালিক হইয়া ভোগদখলে আছেন। এছাড়া উক্ত জমি নামজারি করে হালনাগাদ খাজনাও পরিশোধ করা আছে। আব্দুল জলিলের জমির পাশে গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ।
তারা আমার জমি দখল করতে পারে এধারনা করে আমি আদালতে মামলা করলে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম গত ৮ ফেব্রæয়ারী রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আমার ঘর ভেঙে আমাদের ইট, বালু, সিমেন্ট ব্যবহার করে নিজেরা আবার প্রাচীর নির্মাণ করেন।
এসময় আব্দুল জলিল আরো বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি দখলে আছি। ওখানে ইউনিয়ন পরিষদের কোন জমিও নেই। যদি এটা ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা হয় তাহলে তারা দিনের বেলা জমিটি কেন দখল করলো না।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম বলেন, ওটা ইউনিয়ন পরিষদের জমি। যারা অভিযোগ করেছে তারাই রাতের আধারে ঘর তুলে জমিটি দখলের চেষ্টা করেছিল। তাই সরকারী সম্পত্তি রক্ষার্থে অভিযান চালিয়ে ঘরটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখলের তো প্রশ্নই উঠে না।