সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ থেকে:: নিখোঁজ অটোরিকশা চালক শেখ শাহ-আলম (৬০) এর লাশ উদ্ধারের ১৮ দিনেও ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
নিহত শাহ-আলমের বাড়ি নবাবগঞ্জের বাহ্রা গ্রামে বাসিন্দা ও তার স্বজনরা বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
অটোরিকশা চালক নিখোঁজের ৪দিনপর ৬ এপ্রিল তাঁর লাশ পাওয়া যায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার খারশুর রাস্তার পাশে। সে গত ২ এপ্রিল নিখোঁজ হয়। ৬ এপ্রিল দুপুরে তাঁর লাশ স্বজনরা শানক্ত করে। শরীরে একাধিক কোপানোর চিহ্ন পাওয়া যায়। দুই থানা এলাকার সীমানা ও ঘটনাস্থলের জটিলতার কারণে মামলাও হয় ৬দিন পরে।
নিহতের ছেলে মনির হোসেন বলেন, তিনি দুই থানাতেই ঘুরেছেন। অবশেষে সিরাজদিখান থানা মামলা নিলেও কোনো আসামী ধরার ব্যাপারে তৎপর নয়। মামলার এজাহার নামীয় সন্দেহভাজন ৬ আসামীই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দ্রæত আসামীদের গ্রেপ্তার করতে তিনি দাবী জানান। বৃষ্পতিবার বিকেলে বাহ্রা থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে নবাবগঞ্জ শহীদ মিনারে জড়ো হয়। এসময় নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসী মানববন্ধন করে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল (বুধবার) অটোরিকশা চালক শাহ-আলম সকালে বাড়ি হতে বের হয়। সন্ধ্যা অবধি তাঁকে না পেয়ে শাহ-আলমের নাতি আরাফাত হোসেন ওই দিন রাতেই নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করে।
মনির হোসেনের অভিযোগ রাস্তার জমি সংক্রান্ত ঘটনায় প্রতিবেশী আনেস ও মো. কালুর সাথে তার বাবার ঝগড়া ছিলো। এদিকে ঘটনার পর হতেই আনেস ও কালুর পরিবারের লোকজন ঘর দরজা তালা মেরে পালিয়েছে। মনির হোসেন বাদী হয়ে বাবা হত্যার ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানায় মামলা করে।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক তাজুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, শেখরনগরের আইসি তাজুলের সাথে কথা বলেন। তিনি মামলাটি তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে তিনি ভালো বলতে পারবেন।