মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: ঢাকার ধামরাইয়ে তিনদিনের মাথায় আবারও এক অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যার পর তার অটোরিকশা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ সোমবার সকালে ধামরাইয়ের কালামপুর ছাপড়া ব্রিজের পাশ থেকে ওই রিকশাচালকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত বকুল মিয়া (৪০) নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি ধামরাইয়ের কালামপুর আমাতন নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের মিজানুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থেকে রিকশা চালাতেন। তিনদিনের ব্যবধানে দুই রিকশাচালক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় রিকশাচালকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ জানায়, বকুল মিয়া রোববার দুপুরে তার নিজস্ব ব্যাটারিচালিত নতুন অটোরিকশাটি নিয়ে বের হন। প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে রাত ১০-১১টার দিকে বাসায় ফিরলেও রোববার রাতে আর ফেরেননি। সোমবার সকালে তার বাসা থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে কালামপুর ছাপড়া ব্রিজের পাশে একজনের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে এবং নিহতের স্ত্রী লাশ শনাক্ত করেন।
নিহতের স্ত্রী সাফিয়া বেগম জানান, তার স্বামী প্রায় ২০ বছর ধরে ধামরাইয়ের কালামপুরে ভাড়া থেকে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতো। তাদের দু’টি মেয়ে রয়েছে। তবে তার স্বামীর সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল কি-না সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
ধামরাই থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- দুর্বৃত্তরা যাত্রী সেজে তাকে ছাপড়া ব্রিজের পাশে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার পর অটোরিকশাটি নিয়ে চলে গেছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাফিয়া বেগম বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ধামরাইয়ের সীতিপাল্লীর কাকনাইল এলাকায় আমিজ উদ্দিন (৩২) নামে এক অটোরিকশা চালককে গলা কেটে হত্যার পর তার রিকশাটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরদিন পুলিশ ধামরাইয়ের আড়ালিয়া এলাকায় সড়কের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় রিকশাটি উদ্ধার করে। তবে সোমবার পর্যন্ত পুলিশ রিকশা চালক আমিজ উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নিহত আমিজ উদ্দিনের বাড়িও নীলফামারী জেলায়।