শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: দ্বিতীয় মেয়াদেও রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন আবদুল হামিদ। বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের নীতি নির্ধারণী মহল মনে করছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আর আওয়ামী লীগের মনোনিত রাষ্ট্রপতি হলেও আবদুল হামিদের সঙ্গে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক রয়েছে। এসব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় মেয়াদে আবদুল হামিদকেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে চান বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র মতে, গতবারের মতো এবারও রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটার সংসদ সদস্যরা। বর্তমান জাতীয় সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠের অধিকারী আওয়ামী লীগ। ফলে সে দলের মনোনীত প্রার্থীই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্র্থী মনোনয়নের ব্যাপারে মূল ভূমিকা রাখবেন।
দলের একাধিক নীতিনির্ধারক বলেছেন, বিশ্বস্ততার জায়গা থেকে বিকল্প কাউকে ভাবছে না দলটি। দলের জেষ্ঠ্য নেতাদের এই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, গতবারের মতো এবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। সংসদে ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে অন্যকোনো দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ক্ষমতাসীন দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তিনিই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয় প্রকাশ্যে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরেও গোপনে অন্য দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ সংসদ সদস্যদের নেই।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করা বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ এ বছরের ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। আর সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানে পূর্ববর্তী ৯০ হতে ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি পদেও মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ-সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’ আইনজ্ঞরা বলছেন, মেয়াদ পূরণের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বলতে প্রথম ৩০ দিনকে বোঝাবে। নির্বাচন কমিশনও তাই মনে করে। সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান থাকায় সংসদের চলতি ১৯তম অধিবেশনের মধ্যেই এ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ অধিবেশনটি চলার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
সংবিধানের ৫০(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন রাষ্ট্রপতি পরপর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘একাদিক্রমে হউক বা না হউক- দুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতির পদে কোনো ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকিবেন না।’