সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: জমি বিক্রিতে রাজি না হলে ভাড়াটিয়া দোকানদারকে উচ্ছেদ করে জমিটি দখলে নিতে চেষ্টা করে দোহার উপজেলা বিএনপির সাবেক এক নেতা। তিনি হলেন- মো. ডালু খন্দকার। দোহার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। উপজেলার দোহার বাজারে (ছন্দুমিয়ার বাজার) এ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এসময় মিঠু পাল নামে ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ডালু খন্দকার ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে দোহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বললেও উচ্ছেদ কাজ চালিয়ে যান ডালু খন্দকার। পরে ঘটনাস্থলে পৌছায় দোহার ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টহল টিম। এসময় সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জমির মালিক জানান, ডালু খন্দকার তাঁর পেট্রোল পাম্পের জায়গার পাশে নজরুল ও নুরুল ইসলামের একটি জমি কিনতে বার বার তাগিদ দেয়। কিন্তু মালিকপক্ষ তাঁদের জমিটি বিক্রি করতে অস্বীকার করে। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকালে ডালু খন্দকার লোকজন নিয়ে ওই জমির উপর নির্মিত তিনটি দোকন ঘর উচ্ছেদ করে। পরে বালু ফেলে জায়গাটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে জমির উপর থাকা দোকানের ভাড়াটিয়া মিঠু পালকে মারধর করে। তাঁর দোকানের মালামাল ডালু খন্দকার লোক দিয়ে সরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে জমির মালিক নজরুল ইসলাম মুক্তার জানান, দোহার বাজারে তাঁদের ক্রয়কৃত জমির উপর তিনটি দোকান ভাড়া দেয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরেই দোহার পেট্রোল পাম্পের মালিক ডালু খন্দকার জোরপূর্বক দোকানের জমি কিনে নিতে চায়। এতে রাজি না হলে মঙ্গলবার সকালে তাঁর লোকজন দিয়ে দোকান ভেঙ্গে দেয়। এসময় দোকানের ভাড়াটিয়া মিঠু পাল বাধা দিলে তাকেও মারধর করেন।
ব্যবসায়ী মিঠু পাল অভিযোগ করেন, মালিককে না বলে আমার দোকান লোকজন দিয়ে ভাংচুর করে ডালু খন্দকার। আমি ভাড়াটিয়া হয়ে বাধা দিলে মারধর করে।
দোহার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মতিন চোকদার বলেন, দোকান উচ্ছেদের ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি ডালু খন্দকারকে দোকান মালিকের সাথে কথা বলে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছিলাম। পরে এটা কেন হলো তা বুঝতে পারিনি।
এব্যাপারে বিএনপির সাবেক নেতা ডালু খন্দকার বলেন, আমি এখন রাজনীতি করি না। তবে দোহার আলাদা আসন হলে আমি এমপি নমিনেশন পাবো। আমি পীর মানুষ। আমার মার্কেটের সামনে জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তা করতে এ জমিটি কিনতে চেয়েছিলাম। পাশের সবাই দিয়েছে। এরা দিবে না। এ বিষয়ে পৌরসভা সব জানে। পুলিশও এসে দেখে গেছে। আমি কিছুই করিনি। ওরা আওয়ামীলীগ করে, এখনো জোর খাটাচ্ছে ।