মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: আগামী কয়েক মাসের মধ্যে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিআইএ। সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও বলেছেন, হাতেগোনা কয়েক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারে পিয়ংইয়ং।
সোমবার বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রধান হিসেবে এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দেয়া সাক্ষাৎকারে পম্পেও বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের হুমকি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠকে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে কিম জং যুক্তরাষ্ট্রে নিশানা করে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে বলে আমরা প্রায়ই আলোচনা করি। আমাদের কাজ হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দফায় দফায় রিপোর্ট পাঠিয়ে সতর্ক করা, যাতে তিনি কূটনীতিবহির্ভূত উপায়ে সমস্যার মোকাবেলা করতে পারেন।
একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক অভিযান চালালে যে গণমৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে, তা নিয়েও শঙ্কিত পম্পেও। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দুই মিত্র রাষ্ট্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে বিচলিত ওয়াশিংটন। কিম জংকে গদিচ্যুত করতে গেলে তার প্রভাবে বহু ক্ষতি হবে বলেও সাক্ষাৎকারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সিআইএ প্রধান।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে প্রায়ই উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন প্রশাসন। এ ইস্যুতে এক বছর ধরেই দেশটির নেতার সঙ্গে কথার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান সম্পর্কে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এছাড়া পিয়ংইয়ংয়ের ওপর বেশকিছু অর্থনৈতিক অবরোধও আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিতব্য মধ্যবর্তী নির্বাচনেও রাশিয়া হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক মাইক পম্পেও।
সোমবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ক্ষতি করতে মস্কোর চেষ্টা কমেছে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি মার্কিন কংগ্রেস ও বিচার বিভাগে এখনও তদন্তাধীন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ট্রাম্প এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে জোরালো দাবি করে আসছে। ওভাল অফিসে বসার পর প্রথম বছরের পুরোটাই ট্রাম্পকে এ অভিযোগ মোকাবেলা করতে হয়েছে।