শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের ৩৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ

দিনাজপুর প্রতিনিধি:: দলীয় প্রভাব বিস্তার, হত্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে এক নোটিশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যেখানে স্বাক্ষর করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ এ এফ এম নুরউল্লাহ।

মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এ এফ এম নুরউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১১টি লিখিত অভিযোগের তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বহিষ্কৃতরা কলেজের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী, তাদের বিরুদ্ধে ১১টি লিখিত অভিযোগে নানান অপরাধে জড়িত থাকার বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, এই ৩৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও স্থায়ী শাস্তির আদেশ না আসা পর্যন্ত তাদের সাময়িকভাবে ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, তাদের সামনে প্রয়োজনে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হলো।

মেডিক্যাল কলেজের একটি সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আবাসিক হলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে তারা। তাদের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছে এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেকেই। ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা এবং হত্যা চেষ্টার মতো মোট ১১টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগীরা। অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রাথমিক তথ্যর ভিত্তিতে ৩৯ জনকে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

সেই সঙ্গে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অভিযোগগুলো অধিকতর তদন্তের জন্য মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাহাব আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com