শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার সঠিক রায় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘মামলায় যদি ন্যায়ভিত্তিক সুবিচার, সাক্ষীপ্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেয়া হয় তাহলে তিনি (খালেদা জিয়া) বেকসুর খালাস পাবেন। যদি অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে জেলে দেয়া হয় তাহলে শুরু হবে সরকার পতনের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার গঠন করা হবে।’
‘শুধু তা-ই নয়, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হলে আমরা দলের সিনিয়র নেতারা স্বেচ্ছায় জেলে যেতেও প্রস্তুত।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে রোববার দুপুরে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ।
‘মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলার মাধ্যমে বিএনপিকে বিভক্তি করা তো দূরের কথা দুর্বলও করা যাবে না। বিএনপি অত্যন্ত শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ একটি দল। চুল পরিমাণ ফাঁক নেই যেখানে সরকারের ষড়যন্ত্রের রেখা পৌঁছাতে পারে।’
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীর মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর।
বিএনপির এ নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রেখে আবার একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে মরিয়া সরকার। এ কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা অস্বাভাবিক গতিতে পরিচালিত হয়েছে। তড়িঘড়ি করে রায়ের দিন ঘোষণা করা হয়েছে, যা কখনও আইনি কর্মকাণ্ড হতে পারে না। আমরা মনে করি এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ড।’
‘দেশে দুঃসময় ও ক্রান্তিকাল চলছে’ উল্লেখ করে দলটির এ নীতিনির্ধারক বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার বৃহৎ কারাগারে পরিণত। এ কারাগার থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। সেই মুক্তির দায়-দায়িত্ব যখন বিএনপিকেই নিতে হচ্ছে ঠিক তখন ক্ষমতাসীন সরকার জাতীয়তাবাদী দলকে দাবিয়ে রাখতে তাদের কণ্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কেননা তারা (সরকার) ভালো করে জানে জনগণ একবার ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে এ সরকার টিকতে পারবে না।’
‘খালেদা জিয়া ব্যতীত একাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে দেয়া হবে না’- বলেও মন্তব্য করেন মোশাররফ।
‘২০১৪ সালে তথাকথিত নির্বাচনে ১৫৪ আসনে ভোট হয়নি। এ সরকার জনগণের সরকার নয়, বয়কট সরকার। ফলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা এখন দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’