মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:২১ অপরাহ্ন
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:: তীব্র গরমে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সর্দি, জ্বর-কাশি শ্বাসকষ্ট টাইফয়েড ও ডায়রিয়ার লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে আসছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গরম বাড়লে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে, তাই গরমের এই সময়ে শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দৌলতপুরে তীব্র গরমের এই সময় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে রোজ দশ থেকে পনেরো জন রোগী আসছেন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১ সপ্তাহ ধরে প্রায় শ’খানেক ডায়রিয়া রোগীসহ অন্যান্য রোগীদের সেবা দিতে হিম শিম খাচ্ছেন হাসপাতালের ডাক্তার নার্সরা। পর্যাপ্ত বেড না থাকায় বারান্দা মেঝেতেই মাদুর পেতে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৩ জন এর মধ্যে ৩৭ জনই ডায়রিয়া আক্রান্ত এর মধ্যে ২৩ জন শিশু বাকি বিভিন্ন বয়সের রোগী।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সামসুল আরেফিন সুলভ জানান, শিশুদের শরীরে তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিকশিত না থাকায় অধিক তাপ প্রবাহে তাদের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তীব্র রোদে রাস্তার খোলা খাবার, পানি, শরবত ও কেটে রাখা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন এই চিকিৎসক। কারণ দূষিত খাবার থেকেই জন্ডিস, টাইফয়েড আর হেপাটাইটিসের মতো রোগ ছড়ায়। শনিবার কুষ্টিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ তৌহিদুল হাসান বলেন, আসন অনুপাতে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে, তবে আমাদের জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে শিশুদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়ে পানি শূন্যতা তৈরী হচ্ছে। এই অবস্থায় হিট স্ট্রোকের শঙ্কাও দেখা দেয়। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করার। এসময় সাথে পানির বোতল, স্যালাইনের শরবত রাখার পরামর্শ দেন তিনি। বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে।
এদিকে, তীব্র গরমে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকেই গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন।