সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ২ দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারে উন্নীত করার লক্ষ্যে তার এই ঢাকা সফর। এর আগে ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড ঢাকা সফর করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে কার্গো অবরোধ তুলে নেয়ার বিষয়টির চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করছেন কূটনীতিকরা। এছাড়া ব্রেক্সিট ও ভিসা বিষয়টি নিয়েও গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে আছে। তারা জোরালো ভূমিকাও রেখেছে। এ প্রসঙ্গে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ২৫ আগস্ট রাখাইনে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাখাইন নিয়ে আলোচনার আহ্বান করলে যুক্তরাজ্য ব্যাপক আগ্রহ দেখায়।
তিনি বলেন, শুধু নিরাপত্তা পরিষদেই নয়, অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থায়ও তারা বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছে। অর্থ সাহায্যও দিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রফতানি বাজার। সেখানে বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাজ্য বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শুল্কনীতি মেনে চলছে। কিন্তু ২ বছরের মধ্যে তারা এ জোট থেকে বের হয়ে যাবে। বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠকে ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার পরেও যেন বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় তা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হবে। তিনি আরও বলেন, এর আগেও এ বিষয়টি বিভিন্ন পর্যায়ে তুলেছি। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বাস দেয়া হয়েছে, ব্রেক্সিটের কারণে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় চার বিলিয়ন ডলার। এর সিংহভাগই বাংলাদেশের রফতানি আয়।
এদিকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অভিবাসন সংক্রান্ত কোনো জটিলতা না থাকলেও বাংলাদেশিদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্যা হচ্ছে, সেটি এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনসনকে জানানো হবে। এ প্রসঙ্গে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে ভিসা দেয়ার হার কম। তারা অনেক সময় নিচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হবে, আমাদের ছাত্ররা যেন অবাধে যুক্তরাজ্যে পড়তে যেতে পারে। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী সব ধরনের কার্গো পাঠানোর ওপর ২০১৬ সাল থেকে নিষেধাজ্ঞা আছে। ডিসেম্বরে বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল যুক্তরাজ্য সফর করে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে এ ব্যাপারে দু’পক্ষ একমত হয়। আরেকজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, বরিস জনসনের সফরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি ঘোষণা আসতে পারে।