বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের অনেক দপ্তরে অধিকাংশ পদে কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শুন্য থাকায় অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চলছে উপজেলা প্রশাসন। শুধু উপজেলা পর্যায়েই ১৭টি পদের মধ্যে ১১টি পদ শুন্য থাকায় মাত্র ৬জন কর্মকর্তা দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যার ফলে উপজেলায় সরকারী কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যেমন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠপর্যায়ে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে। তেমনি কর্মকর্তা-কর্মচারীর শুন্য দপ্তরগুলির কার্যক্রম একেবারেই স্থবির হয়ে পরেছে। এ কারনে সাধারণ মানুষ ওইসব দপ্তরের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভুমি কমিনশার (এসি), শিক্ষা কর্মকর্তা, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, ভেটেরিনারি সার্জন, খাদ্য কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সমবায় কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও বন বিভাগ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য অবস্থায় রয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা সির্ন্দুনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরল আমিন জানান, হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ শুন্য থাকায় আমরা উপজেলাবাসী সেবা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি এ বিষয়ে একাধিক বার জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় কথা বলেছেন। পাক্ষিক গোপন প্রতিবেদনে বিষয়টি উচ্চ পাযার্য়ে অবগত করার পাশাপাশি জনবল চেয়ে বিভিন্ন অধিদপ্তরে পত্র দিলেও কোনো সুফল পায়নি।
তবে উপজেলাবাসী মনে করছেন এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে উপজেলার ওইসব দপ্তরে দুর্নীতি বৃদ্ধিসহ আইনশৃ্খংলার চরম অবনতি হওয়ার আশ্কংা রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি কিন্তু ওইসব দপ্তরে কর্মকর্তা দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তবে আমি জেলা পর্যায়ে সব কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি তারা নির্ধরিত মন্ত্রনালয়ে জনবলের চাহিদা দিলেই দপ্তরের শুন্যপদ গুলি পুর্ন করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।