সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন

জীবনের সবক্ষেত্রে ‘‘হ্যাঁ বলতে শিখুন’’ আলমগীর হোসেন শিশির

হ্যাঁ বলতে শিখুন আলমগীর হোসেন শিশির হ্যাঁবোধক চিন্তা: জীবনের চলমান পথে সর্বাবস্থায় সুচিন্তা-ভাবনা করা একটি মহৎগুণ।

হ্যাঁ বলতে শিখুন – আলমগীর হোসেন শিশির

 

হ্যাঁবোধক চিন্তা: জীবনের চলমান পথে সর্বাবস্থায় সুচিন্তা-ভাবনা করা একটি মহৎগুণ। কথায় আছে মন ভালো তো দুনিয়া ভালো। মনের অনাবিল প্রশান্তি, সুখ নীড়ের মূলধারা সৃষ্টি করা, এবং সফল জীবনের রহস্যের চাবিকাঠি হলো হ্যাঁবোধক চিন্তা। জীবন একটি সহজ খেলা নয়, জীবন কিন্তু সাপ-লুডু’র খেলার মত। কখন বিপদ আসবে তা পূর্বে বলার অবকাশ নেই। তার মধ্যে অনেক জটিলতায় ভরা আছে। এই জটিলতা এবং প্রতিক‚লতার মাঝে কিভাবে জীবনের প্রতিটা পরতে সোনালী দিনের সূচনা ঘটাতে হয়, তার জন্য হ্যাঁবোধক চিন্তার ভূমিকা অপরিসীম।

 

হ্যাঁবোধক চিন্তা হলো সুস্থ্য মানসিক দৃষ্টিকোণের একটি আলোর পৃথিবী, যা জীবন চলার পথে নানান দিক উদ্ভাসিত করে। এটি জীবনের প্রতিটি অবস্থায় সুখ, শান্তি, এবং সাফল্যের দিকে অগ্রগামী করে। সুচিন্তা একটি মহা শক্তিশালী সাধনা যা আমাদেরকে আগামী দিনগুলি উত্তম রূপে চলতে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে থাকে।

মানুষের জীবন চলার বিভিন্ন বাঁকে বাঁকে সাধারনত আমরা ৪(চার)টি দিক দেখতে পাই – ক) ব্যক্তিগত,  খ) পেশাদার, গ) সামাজিক এবং ঘ) আধ্যাত্মিক । এই চারটি দিকেই হ্যাঁবোধক চিন্তা প্রভাব  ফেলে। ব্যক্তিগত দিকে, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুখের জন্য হ্যাঁবোধক চিন্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পেশাদার জীবনে, আমাদের লক্ষ্যে এবং কর্মক্ষমতায় এটি একটি গুরুত্ববহ সংবাদ প্রদান করে। সামাজিকভাবে, এটি আমাদের আশার এবং সমর্থনের দিকে আলোর পথে দিশারী হয়ে ওঠে। আধ্যাত্মিক দিকে, হ্যাঁবোধক চিন্তা আমাদের উচ্চতম মানব মানবিক অভিজ্ঞান এবং দারিদ্র্য  থেকে মুক্তি প্রদান করে।

 

হ্যাঁবোধক চিন্তা সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি তৈরি করে। এটি আমাদের প্রতি সময় সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে দেয়, আমাদের দৃষ্টিকোণ আরও উজ্জ্বল করে এবং আমাদের দিনগুলির মাধ্যমে সৃষ্টি করে একটি সোনালী ভবিষ্যত।

সময় পেলে আলমগীর শিশির রচিত অন্য লেখা পড়ুন- 

 

বস্তুতপক্ষে হ্যাঁবোধক চিন্তা সবাই করতে পারেনা। এমন মহান মহৎগুণ সকলের থাকেনা। যাদের থাকে তারা ব্যক্তিগত জীবনে যেমন নিজেরা দিনশেষে পরিতৃপ্তি থাকে, তেমনি তাদের কারণে তাদের আশেপাশের মানুষগুলিও সুখে থাকে।

 

হ্যাঁবোধক চিন্তা : জীবনের একটি সুন্দর উৎপাদন।

জীবনটি একটি সাফল্যকে অনুসন্ধান করা, এটি পূর্ণ করা, এটি উন্নত করা- এসব লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া জনগণের মধ্যে পজিটিভ চিন্তা হলো একটি অমূল্যবান সহায়ক সাথী। এটি মানবজীবনের রহস্যময় এবং অদ্বিতীয় ক্ষমতা, যা জীবনকে একটি সুন্দর উৎপাদনের যেতে যুগান্তকারী ভ‚মিকা পালন করে থাকে।

 

একজন পজিটিভ চিন্তার মানুষ জীবনের প্রতিনি সায়হ্নে একনিষ্ঠতা দিয়ে দেখতে পারে যে, জীবনের প্রতিটি সময় একটি সুযোগ ও সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে। তার দৃষ্টিতে, যেকোনো প্রস্তুতি একটি সবচেয়ে বড় ধাপ । কারণ সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো মানসিকভাবে উন্নত এবং সুপ্রস্তুত হওয়া। সময়ের সাথে সাথে একজন পজিটিভ চিন্তার ব্যক্তি জীবনের প্রতি দিকে অনুভূত করে এবং সৃষ্টি করে।  সে সকল সময়ের মধ্যে পূর্ণতা সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।

 

পজিটিভ চিন্তা আমাদের দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করে এবং আমাদেরকে সমস্ত প্রস্তুতি এবং চুক্তির সাথে সাথে  প্রস্তুতি করে। এটি একটি অদ্ভুত শক্তি, যা জীবনকে একটি সুন্দর উৎপাদনে পরিণত করতে সাহায্য করতে সক্ষম। পজিটিভ চিন্তার মাধ্যমে জীবনকে একটি সুন্দর দিকে পরিণত করতে পারা যায়।

 

অ্যালবার্ট আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন, “আপনি যদি চিরকাল একটি দরজা বন্ধ রাখেন, তারপর আপনি অন্য একটি দরজা  খোলতে ব্যাকুল হতে দিতে পারেন না।” এই বাণীটি আমাদেরকে বুঝাচ্ছে, পজিটিভ চিন্তা হলো একটি প্রাসাদিক উদ্ভাবন যা আমাদের জীবনের সমস্ত দরজা খুলতে সাহায্য করে।

অনুভূতির কবিতা রচনা করেছিলেন মার্গারেট থ্যাচার – “হ্যাঁ বলতে শিখো।”

“হ্যাঁ বলতে শিখো, যার মাধ্যমে তুমি সব দরজা খুলতে সহায় করতে পারো। যখন শক্তির হাঁটি অনুভূতি কর, সব অসম্ভাব্য সম্ভব হয়।” আমরা আমাদের জীবনের প্রতি দিকে হ্যাঁ বলতে শেখা হলে, আমরা আত্ম-বিকাশ, সমৃদ্ধি, এবং সাফল্যে অগ্রসর হতে পারি। পজিটিভ চিন্তা আমাদেরকে উৎসাহ এবং আত্মবিশ্বাস দেয়, এবং এটি আমাদের সবসময় পজিটিভ চিন্তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শান্তি, আনন্দ এবং সমৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনের অনুভূতি তৈরি করতে এবং দিকে দিকে আগামী দিনগুলি সামর্থ্যভরে চলতে সাহায্য করে পজিটিভ চিন্তা মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে উৎসাহিত করতে পারি।

Alamgir Hossain Shishir

আলমগীর হোসেন শিশির

  • আলমগীর হোসেন শিশির
  • লেখক : গীতিকার ও কথা সাহিত্যিক

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com