শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক:: ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে হারাল বাংলাদেশ। সোমবার মিরপুরের শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। তামিম ইকবালের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ম্যাচটি তারা জিতেছে ৮ উইকেটে।
জিম্বাবুয়েকে ১৭০ রানে অলআউট করতে সাকিব ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন। ব্যাট হাতে করেন ৩৭ রান। শেষটা করেন তামিম। ৬৬ বলে ৩৯তম হাফসেঞ্চুরি করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশি ওপেনার। ২৮.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৭১ রান করে স্বাগতিকরা।
দুই বছরেরও বেশি সময় পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া এনামুল হক বিজয় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝড় তোলেন। যদিও তাকে থামতে হয়েছে ১৯ রানে। তামিমের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটি ছিল ৩০ রানের। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সিকান্দার রাজাকে উইকেট দেন এনামুল। লেগ সাইডে ডিপে দাঁড়ানো ক্রেইগ আরভিন তার ক্যাচ ধরেন। চারটি বাউন্ডারি ছিল প্রায় তিন বছর পর ওয়ানডে দলে জায়গা পাওয়া এনামুলের।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করতে থাকেন তামিম-সাকিব জুটি। দলের স্কোর ১০০ ছাড়িয়ে নেন তারা দুজন। কিন্তু সিকান্দারের বলে এলবিডাব্লিউ হন সাকিব। জিম্বাবুয়ান স্পিনারের জোর আবেদন আম্পায়ার নাকচ করে দিলেও রিভিউ যায় তার পক্ষে। ৪৬ বলের ইনিংসে সাকিব মারেন ৫টি বাউন্ডারি। তিনি আউট হওয়ার পর তামিম ৬৬ বলে পান ৩৯তম ফিফটি। ৯৩ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মুশফিক খেলছিলেন ১৪ রানে।
টস নিয়ে ভাবতে হয়নি বাংলাদেশকে। কুয়াশা ঘেরা মিরপুরে সকালে টস জিতেই ফিল্ডিং নেন মাশরাফি মুর্তজা। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত বিফলে যায়নি। প্রথম ওভারে জিম্বাবুয়ের দুই উইকেট তুলে নেন সাকিব। দ্বিতীয় বলে সলোমন মায়ার স্টাম্পিং হন। এক বল বিরতি দিয়ে সাকিব ফেরান ক্রেইগ আরভিনকে। মিড উইকেটে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দেন জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান।
প্রথম ওভারে জোড়া আঘাতের পর বিপদ সামলানোর চেষ্টা করেন হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও ব্রেন্ডন টেলর। তাদের প্রতিরোধ ভেঙে দেন মাশরাফি। ২৮ রানের জুটি গড়ে মাসাকাদজা (২৫) পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে টেলর ২৪ রানে মোস্তাফিজের শিকার হন। দলীয় ৮১ রানে জিম্বাবুয়ে তাদের পঞ্চম উইকেট হারায় সানজামুল ইসলামের কাছে। ম্যালকম ওয়ালার ১৩ রানে আউট হন।
ধুকতে থাকা জিম্বাবুয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে পিটার মুর ও সিকান্দার রাজার ৫০ রানের জুটিতে। ইনিংস সেরা ৫২ রানে সাকিব ও মুশফিকের যোগসাজশে রান আউট হন সিকান্দার। মুরের সঙ্গে অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের ৩০ রানের জুটি সর্বশেষ প্রতিরোধ গড়েছিল সফরকারী দলের পক্ষে। তাদের ৩০ রানের জুটি ভাঙার পর আর দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৯ রানের ব্যবধানে শেষ চার উইকেট হারায় তারা। মুর ৩৩ রানে আউট হন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাকিব। মোস্তাফিজ ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৯ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। ৪১টি ডট বল দিয়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তিনি। আরেক পেসার রুবেল হোসেনও পেয়েছেন দুটি উইকেট।