মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া এ মামলায় তার পুত্র তারেক রহমানসহ বাকি চারজনের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত একই সঙ্গে বেগম জিয়াকে জরিমানা করেছেন ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বকশীবাজারে বিশেষ জজ আদালত-৫’ এর বিচারক ড. মো: আখতারুজ্জামান এ রায় দেন। বেগম জিয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করতে পারবেন।
এ মামলার দণ্ডিত অপর চার আসামী হচ্ছেন- মাগুরার সাবকে এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দনি আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবকে সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানরে ভাগ্নে মমিনুর রহমান। এর আগে বেগম জিয়া বকশীবাজার আদালতে পৌঁছেন দুপুর পৌণে দুইটায়। এরপর তার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় পড়তে শুরু করেন বিচারক ড. মো: আখতারুজ্জামান।
বকশীবাজার আদালতে যাওয়ার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহর হেয়ার রোডে এসে পৌঁছানোর আগেই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এসে যোগ দেয়। পুলিশ এসময় বিএনপির নেতা কর্মীদের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বিএনপির কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশ ১০-১২ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর কাকরাইল মোড়ে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করে বিএনপি কর্মীরা। ৩ জন পুলিশ আহত হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে কাকরাইল চার্চের মোড়ে পৌঁছালেই পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এখানে খালেদা জিয়ার গাড়ি ৭-৮ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর আবারও আদালতের পথে রওনা দেয়। এর আগে মগবাজারে ছাত্রদল কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
বেগম খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা ৪২ মিনিটে তার বাসভবন থেকে গাড়ি বহর নিয়ে বকশীবাজার বিশেষ জজ আদালতে রওনা দেন। আদালতে তিনি যান পুলিশের বিশেষ ব্যবস্থায়। সময় লাগে দুই ঘন্টা। ডিএমপি থেকে জানানো হয়েছে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদেরকে অস্ত্র নিয়ে আদালতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
খালেদা জিয়াকে নিয়ে গাড়ির বহর সাত রাস্তার মোড় পার হয়ে মগবাজার রেল গেটের আগে এসে পৌঁছালে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এসে জড়ো হন। তারা স্লোগান দিতে দিতে বেগম জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে আদালতের পথে আগাতে থাকেন। খালেদা জিয়ার গাড়ির বহরে সামনে মটর সাইকেলে করে সাত রাস্তায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে। পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে মটর সাইকেলে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রা করে খালেদা জিয়াকে এগিয়ে নেয়। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে, আমার নেত্রী,আমার মা, বন্দী হতে দেব না।
খালেদার গাড়িরবহর রমনা থানার কাছে পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভিড়ে গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে যায়। এসময় ধীরগতিতে খালেদাকে নিয়ে তার গাড়ি বহর আদালতেরে পথে আগাতে থাকে। আদালতের পথে পথে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মাঝে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ছাড়াও পুলিশ টিয়ার সেল ও লাঠি র্চাজ করে। এসময় নেতাকর্র্মীরা পিছু না হটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ঘিরে আদালতের দিকে এগোতে থাকে।
এদিকে, দুপুর দেড়টার দিকে বিশেষ আদালতে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মির্জা ফখরুল জানান তার দলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। কিন্তু সরকারই সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে।
নয়াপল্টন মডেল থানার সামনে থেকে গাড়িবহরে যোগ দেন যুগ্ম মহাসচিব সাবেক ছাত্রনেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। গুলশান, তেজগাও সাত রাস্তা মোড়, মগবাজার, কাকরাইল মোড়, হ্ইাকোর্ট, চানখারপুল এলাকা দিয়ে বকশী বাজার আদালতে পৌছে। র্যাব পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় গুলশান নিজ বাসভবন থেকে বের হন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এদিকে রাত থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান দুই নিজস্ব বাস ভবন ফিরোজার সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। বাস ভবনের সামনের সড়কগুলোতে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার বাসভবনের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কগুলোর একই অবস্থা। পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে। কাউকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কার্যালয়ের ভিতরে রয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রাতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বকশী বাজার ও আদালত এলাকায় নেওয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আদালত চত্বরে তল্লামী করে ঢোকানো হচ্ছে। আশপাশ এলাকার উচু ভবনে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। তারা সেখান থেকে নজর রাখছেন। পুরো এলাকা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্ডন করে রেখেছে।
এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে বিশেষ আদালতে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মির্জা ফখরুল জানান তার দলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। কিন্তু সরকারই সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে।
নয়াপল্টন মডেল থানার সামনে থেকে খালেদার গাড়িবহরে যোগ দেন যুগ্ম মহাসচিব সাবেক ছাত্রনেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। গুলশান, তেজগাও সাত রাস্তা মোড়, মগবাজার, কাকরাইল মোড়, হ্ইাকোর্ট, চানখারপুল এলাকা দিয়ে বকশী বাজার আদালতে পৌছে। র্যাব পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় গুলশান নিজ বাসভবন থেকে বের হন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এদিকে রাত থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান দুই নিজস্ব বাস ভবন ফিরোজার সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। বাস ভবনের সামনের সড়কগুলোতে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার বাসভবনের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কগুলোর একই অবস্থা। পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে। কাউকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কার্যালয়ের ভিতরে রয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রাতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বকশী বাজার ও আদালত এলাকায় নেওয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আদালত চত্বরে তল্লামী করে ঢোকানো হচ্ছে। আশপাশ এলাকার উচু ভবনে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। তারা সেখান থেকে নজর রাখছেন। পুরো এলাকা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্ডন করে রেখেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ টি মামলা রয়েছে। দুর্নীতির পাঁচটি মামলা ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরো ৩১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি মামলা নাশকতার। সেই সঙ্গে রয়েছে মানহানি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের বেশ কিছু মামলা। ১৫ আগস্টে তার জন্মদিনটি ভুয়া এই অভিযোগেও একটি মামলা রয়েছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে।
৫ টি দুর্নীতির মামলার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় আজ। বাকী চারটি মামলার মধ্যে রয়েছে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, নাইকো, গ্যাটকো এবং বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলা। এই মামলাগুলোর মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা বিচারাধীন। বাকী নাইকো, গ্যাটকো এবং বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলায় পুলিশ এখনো চার্জশিট দেয়নি। রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জিয়া অরফানেজ মামলার রায় শুনতে আজ আদালতে হাজির হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সকাল দশটার পর তার আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।