বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট::
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতি মামলায় যেনতেন রায় দিলে জনগণ তা মেনে নিবে না।
২৭ জনুয়ারী শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এসময় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সম্পূর্ণ দুর্নীতির মিথ্যা মামলায় দ্রুততার সাথে মামলার কার্যক্রম শেষ করে রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের বিজ্ঞ আইনজীবীরা আদালতে চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা শুধু খণ্ডন করেননি মিথ্যা প্রমাণ করেছেন। প্রমাণ করেছেন জাল নথি তৈরি করে এই মামলা করা হয়েছে। কিন্তু তাড়াহুড়া করে অতি দ্রুততার সাথে সেই মামলায় রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। এমনকি শেষ দিন আইনজীবী আরো কথা বলতে চাইলেও আদালত সেই সুযোগ দেয়নি। তিনি বলেন, কেনো এই তাড়াহুড়া? কারণ সরকার বিএনপিকে, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। বিএনপি মহাসচিব হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যেনতেন রায় দিলে জনগণ তা মেনে নিবে না। ন্যায় বিচার হতে হবে। কিন্তু কার কাছে ন্যায়বিচার আশা করবো। কারণ বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে। রায়ের আগে আওয়ামী লীগ ও জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা বললেন আটদিনের মধ্যে খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে। কেউ বললেন, ১৫ দিনের মধ্যে জেলে যেতে হবে। ঠিকই তো এই সময়েই রায় দেয়া হচ্ছে। তাহলে বিচারের এই প্রহসন কেন? একদলীয় শাসন পুনরায় কায়েম করা করার জন্য। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। নয় বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। দেশের ১৬ কোটি মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতীক। তার সাথে আপনারা যে আচরণ করলেন, অসম্মান করলেন এই আচারণের জন্য জনগণ কোনোদিন আপনাদের ক্ষমা করবে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আজকে বক্তব্য একটাই। তাহলো গণতন্ত্র, রাষ্ট্র, আমাদের যত অর্জন যারা ধ্বংস করতে চায় তাদের রুখে দিতে আমাদেরকে জনগণকে সাথে নিয়ে জেগে উঠতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ পুরোপুরি মিথ্যার উপর টিকে আছে এমন দাবি করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের সোনার ছেলেরা, ছাত্রলীগের ছেলেরা নিজেরা নিজেরা মারামারি করছে। যারা বিরোধীতা করছে তাদের মারধর করছে, মেয়েদের চুল ধরে মারধর করছে। অথচ আওয়ামী লীগের একজন নেতা নাম বলবো না তিনি বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি ছাত্রদল হামলা করেছে। কি মিথ্যা কথা। অথচ পত্র-পত্রিকায় এসেছে ছাত্রলীগের লোকজন কিভাবে মারধর করছে। কিন্তু কোনোদিন বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়, স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদকে বরদাশত করেনি। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করেছে। এজন্য স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বলবো শুধু তোমাদের প্রস্তুত হলে হবে না। জনগণকে প্রস্তুত করতে হবে। এবং আমাদের উপর চেপে বসা এই দানবকে সরাতে হবে।