বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
কালিয়াকৈর প্রতিনিধিঃঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হতদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ চলছে। এ কর্মসূচিতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলা ৯টি ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে হতদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচির গত ১৮ই ডিসেম্বর কাজ শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচিতে ২৭টি প্রকল্পের অধীনে উপজেলার নামমাত্র লোক দিয়ে বিভিন্ন কাঁচা সড়কে ড্রেসিং ও মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এই প্রকল্পে ১কোটি ১৩ লাখ ৪ হাজার টাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় থেকে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে আওতায় প্রতিদিন অতিদরিদ্র ১ হাজার ৪১৩ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। ্প্রত্যেক শ্রমিককে কাজের মজুরি হিসাবে ১৭৫টাকা করে দেওয়া হচ্ছে । বাকী ২৫ টাকা কেটে রাখা হয়,কাজ শেষে সেই গুলো দিয়ে দেবার কথা রয়েছে। কিন্তু ২৭টি প্রকল্পেই শ্রমিক কম খাটানো হলেও হাজিরা খাতায় প্রায় শতভাগ উপস্থিত দেখানো হচ্ছে। এসব অনুপস্থিত শ্রমিকদের হাজিরা টাকা কৌশলে উত্তোলন করে পকেটস্থ করছেন প্রকল্পের মেম্বার ও সংশ্লিষ্টরা। ফলে বর্তমান সরকারের মহতি উদ্যোগ ৪০ দিনের কর্মসূচি ভেস্তে যেতে বসেছে। ওই সব প্রকল্পের অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে এলাকায় সুষ্ট ভাবে কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। এসময় তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শ্রমিক বছির উদ্দিন বলেন, ২০০টাকার করে দেওয়ার কথা থাকলে ও আমাদের দিতেছে ১৭৫টাকা । বাকী ২৫টাকা পড়ে দিবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
আটাবহ ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আমেনা বেগম তার প্রকল্পে শ্রমিক কম থাকার কথা স্বীকার করে তিনি রেগে যান। এসময় তিনি বলেন, শ্রমিক কম আছে, তাতে আপনাদের সমস্যা কোথায়? আমার পিছনে পড়েছেন কেন?
শ্রীফলতলী ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুর রহমান জানান, আমার একদিন মাত্র ১২জন শ্রমিকে কাজ করেছে । আর বাকী দিন ঠিকমত কাজ করেছে।
প্রকল্পের ট্যাগ অফিসার ইসমাইল হোসেন কাছে হতদরিদ্র কাজে বিষয় জানতে চাইলে তিনি পড়ে জানাবেন বলে ফোনটি কেটে দেন।
কালিয়াকৈর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহম্মেদ রেজা আল মামুন জানান, যদি কোন মেম্বার কম শ্রমিকে দিয়ে কাজ করে থাকে তাহলে তাদের ভাউচার থেকে বিল কর্তন করা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন যতজন শ্রমিক কাজ করেব, ততজনের টাকা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে অনুপস্থিত শ্রমিকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে অনুপস্থিত শ্রমিকদের কোন প্রকার আতœসাৎ করতে দেওয়া হবে না।