সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:: দেশের বৃহত্তম ঈদুল আজহার জামাতের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। ১৯৭তম ঈদ জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। শোলাকিয়া ঈদগাহে এবার ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে শোলাকিয়া মাঠ পরিদর্শনে আসেন র্যাব-১৪ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলিমুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার, স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবিরসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঈদ জামাতে জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু সঙ্গে না আনতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ১৯৭তম পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মোবাইল ও ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ঈদের জামাতকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করতে ওয়াচ টাওয়ার ছাড়াও সাদা পোশাকে থাকবে পুলিশ। আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছি। মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ের মাধ্যমে চেকিং হয়ে মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করবেন। কাউন্টার টেরোরিজমসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। আশা করি নিরাপদে নির্বিঘ্নে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরতে পারবেন।
র্যাব-১৪ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ঈদ জামাতকে ঘিরে নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত। প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের ব্যবস্থা করেছি।
শোলাকিয়া মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, ঈদের জামাত শুরুর আগে শটগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুঁড়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের সংকেত দেওয়া হবে।
শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
জনশ্রুতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে প্রায় সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’ যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।