সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন
মো. তৌহিদুল ইসলাম, কলাপাড়া-কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে স্বপ্ন দেখছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগের নাম মাঠে-ঘাঠে শোনা যাচ্ছে।
আসন্ন নির্বাচনে তার বিকল্প ভাবতে নারাজ উপজেলার মানুষ। পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগকে নিয়ে নেতা কর্মীদের মধ্যে অনেক খানি প্রত্যাশা রয়েছে। যা বিভিন্ন সভা সেমিনারে তার প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেছে। তাই আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এ উপজেলার মানুষ।
জানা যায়, দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল ত্যাগ, ধৈর্যশীল ও সংগ্রামী নেতা হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ। এ কারনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারণ্যের প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। দলের কাছে পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতির আদর্শ হিসেবে পরিচিত এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগের যেমন সাংগঠনিক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তেমনি তিনি পরোপকারী, দরদি ,করোনা কালীন, দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও দক্ষ সংগঠক হিসেবেও বেশ পরিচিত। নেতা কর্মীর পাশাপাশি সাধারন মানুষের কাছে ও রয়েছে সমান জনপ্রিয়তা। এ কারনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারুন্যের প্রতিনিধি এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় ভোটাররা।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় একাধিক প্রার্থীর নাম শুনা গেলেও এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগের নাম জোড়ালো ভাবেই মানুষের মুখে শোনা যাচ্ছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের যোগ্যতা যাচাইও উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে যা করার প্রত্যয় তা নিয়ে তিনি মাঠে কাজ শুরু করেছেন।
উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তার প্রার্থীতায় উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন। ফলে প্রতিদিন উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রামের পর গ্রামের ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। তবে ভোটাররা কর্মঠ ও পরিচ্ছন্ন হিসেবে এ নেতাকে উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একজন স্বচ্ছ –সৎ মানসিকতার রাজনৈতিকের মধ্যে যেসব গুনাবলী থাকা জরুরী, তা এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগের মধ্যে আছে। যা উপলক্কি করতে পেরেছেন কলাপাড়াবাসী। যে কারনে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগের নামটি আলোচনায় শীর্ষে থাকছে। হয়তো ভোটাররা তার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলছে। একজন নিজের যোগ্যতা আদর্শবান মানুষ। যুব সমাজের আইকন ও সকলের প্রিয় মানুষ। বালীয়তলী ইউনিয়নে বালীয়তলী সবুজ শ্যামল গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। গ্রাম থেকে উঠে আসা মানবিক মানুষ এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ। তিনি দ্বাদশ সংসদীয় পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন না দেওয়ায় এক নিষ্ট কর্মী হয়ে কাজ করেন।
নৌকার টিকিট না পাওয়া এ বছর প্রস্তুতি নিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে। বিগত ১১৪ পটুয়াখালী -৪ আসনে (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) সংসদ নির্বাচনে ও প্রত্যেকটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন।
সুযোগ পেলেই ছুটে আসেন তার নিজ এলাকায়। উপজেলায় সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের পরম বন্ধু। কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক এ নেতাকে নিয়ে তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা আশার আলো দেখছেন। ইতিমধ্যে তিনি উপজেলার সর্বত্র তরুনদের মনে স্থান করে নিয়েছেন। তরুনদের আশ্রয় ও ভরসাস্থল এখন এ নেতা কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ। তিনি কেন্দ্রে ঘোষিত কর্মসূচীর পাশাপাশি তৃন মুলে নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর ও দু:খ কষ্ট মুছে দিতে ঢাকা থেকে কলাপাড়া আসেন। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি নেতাকর্মীর বাসায় বাসায় গিয়ে দলের কাজ করছেন। সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরও সার্বিক খোঁজ খবর নেন এ নেতা। দলের অবহেলিত ও নির্যাতিত কর্মীদের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে থাকাটাই তার স্বপ্ন। যিনি তার মেধা, বিচক্ষনতা দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার সামর্থের সব টুকু দিয়ে নিরলস ভাবে সাধারন মানুষের ভাল মন্ধের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
রাজপথের অকুতোভয় সৈনিক নির্যাতন,নিপিড়ন কখন ও আন্দোলন থেকে সরে পড়েনি। এক সময়ের তুখোর মেধাবী ছাত্র নেতা বিরোধী দল বিএনপি-জামায়েত জোট সরকারের বিরোধী রাজপথের সাহসী সৈনিক বিভিন্ন হামলা-মামলা, কারাবরনকারী জননেত্রী শেখহাসিনা আস্থাবাজন নেতা। ইতোমধ্যে তিনি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা আগামী উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগাম-প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন ও গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন। ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা আগামী উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। বিভিন্ন হাট-বাজার ও চায়ের টেবিলে এবং এলাকার সাধারন মানুষের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছেন। ফেইসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ ও গনমাধ্যম মাধ্যমে প্রচার করছেন। তাঁর সমর্থকেরা ও বসে নেই। ক্লিন ইমেজের দাবিদার এই যুবনেতা এ বছর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। এলাকার যুবকসহ সাধারণ ভোটারদের কাছে ও তার ক্রমশ ইমেজ বাড়ছে। যুব সমাজের কাছে জনপ্রিয় এই নেতা শক্ত-পোক্ত ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলা মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৯৯ হাজার ৪৫৫ জন।
বরিশাল বিভাগের মধ্যে এই আসনের জনপদে সরকারের রয়েছে এক যুগের টানা বিস্ময়কর উন্নয়ন কর্মকান্ড। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ৪র্থ বারের ক্ষমতার কারণে কলাপাড়ায় সরকারের একাধিক মেগাপ্রকল্প চলমান রয়েছে। এক কথায় দেশের উন্নয়ন বলতে গেলে কলাপাড়া উপজেলাকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার প্রধান শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের কারণে এখানকার মানুষ পাঁচ হাজার টাকা শতকের কৃষি জমি এখন এক/দেড় থেকে তিন লাখ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সমগ্র কলাপাড়ার বেলাভূমিও পরিণত হয়েছে সোনার খনিতে। সাবমেরিন ল্যান্ডিং ক্যাবল স্টেশন। দেশের তৃতীয় ‘পায়রা সমুদ্র বন্দর’ নির্মাণ। পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ। ১৩২০ মেগাওয়াট আরপিসিএল এনপিএল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকাজ। আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। শের-ই-বাংলা নৌ-ঘাঁটি। কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড-সহ কলাপাড়া উপজেলায় এখনো চলমান রয়েছে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ।
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ বলেন, আমি বিগত দিন থেকে কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী উপজেলা মানুষের পাশে ছিলাম ও আছি। আগামীতে ও মানুষের সেবা করার লক্ষে উপজেলা নির্বাচন করতে চাই। আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা বিশ্বাস করি। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাররা আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমি সাধারন মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। আসন্ন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচনে আপনারা আমার পাশে থাকবেন, আমি সামনের দিকে অবশ্যই এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।