মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
তুহিন আহামেদ, সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃঃ
স্বামীর পরকীয়া জেনে ফেলায় আশুলিয়ায় রুলিয়া আক্তার ওরফে ফালানি (২০) কে শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী-শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী-শ্বাশুরী পলাতক রয়েছে।
১৯ জানুয়ারী শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপি’র পশ্চিম গাজীবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত রুলিয়া আক্তার ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন শিমুলিয়া ইউপি’র কালিকাপুর এলাকার দীনমজুর আউলাদ হোসেন এর মেয়ে এবং পশ্চিম গাজীবাড়ি এলাকার নাজমুল হোসেন এর স্ত্রী।
পলাতক নাজমুল হোসেন আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপি’র পশ্চিম গাজীবাড়ি এলাকার দুবাই প্রবাসী নুরুল হক এর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাস আগে নিজেদের পছন্দমত পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের সময় নাজমুলকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেওয়া হয় রুলিয়ার পরিবার থেকে। বিয়ের পর ৩মাস ভালই চলছিল তাদের। বাদ সাধে ৩মাস পর। স্বামী নাজমুলের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক হয় পাশের বাড়ির তার এক ভাতিজীর সাথে। বিষয়টি তিন মাস ধরে চলতে থাকলেও শুক্রবার রুলিয়া জানতে পারে। পরে বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রী ও শ্বাশুড়ীর সাথে কথাকাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে স্বামী ও শ্বাশুড়ী মিলে তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
হত্যার পর নিহতের বাবা আউলাদ হোসেনকে মোঠোফোনে জানায় তার মেয়ের খিচুনী হচ্ছে তারাতারি আসেন। পরে এসে জানতে পারেন তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে রুলিয়ার স্বামী ও শ্বাশুড়ী কৌশলে পালিয়ে যায়।
এদেিক, শনিবার সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রচার করতে থাকে রুলিয়া আত্মহত্যা করেছে।
সকালে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন্ড মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।